আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বদলি বা ছুটি প্রয়োজন হলে নিতে হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)সম্মতি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও জনবল নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভোটের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী কর্তৃপক্ষের নির্বাচন কাজে সহায়তা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসির অধীন প্রেষণে কর্মরত হিসেবে গণ্য হবেন। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।
এ ছাড়া নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের স্বার্থে তফসিল ঘোষণার পর বদলি বা ছুটি না দেওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইসির ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল ২৯ ডিসেম্বর, বাছাই ৩০ ডিসেম্বর–৪ জানুয়ারি, আপিল ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং নিষ্পত্তি ১২–১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২০ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর