ইয়াছিন ভাইয়ের সমর্থকরা যখন বারবার বলছিলেন তারা আজ নমিনেশন আনছেন, কাল নমিনেশন আনছেন, তখন এসব দেখে আমি আর সহ্য করতে না পেরে আবেগে পড়ে মনোনয়নপত্র কিনেছি।
তবে, এই মনোনয়নপত্র কেনাটা আমার ভুল হয়েছে, দুঃখিত। আমি এই মনোনয়নপত্র জমা দেবো না এবং নির্বাচনও করবো না। তবে, দল যদি ইয়াছিন সাহেবকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমিও নির্বাচন করবো। সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন ঘোষণা দেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
এর আগে রবিবার দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসানের কাছ থেকে তার পক্ষে স্বতন্ত্র পদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। সাক্কু সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেছেন, ইয়াছিন সাহেব সবসময় আমার কার্যক্রমে বাধা দিয়েছেন। সবসময় তিনি আমার বিপরীতে ছিলেন। তাই হাজী ইয়াছিন সাহেবকে মনোনয়ন দিলে আমি স্বতন্ত্র থেকে হলেও নির্বাচন করবো। হাজী ইয়াছিন সাহেব ছাড়া আর যাকেই মনোনয়ন দিক, আমি তার পক্ষে কাজ করবো। তাই আমি বিএনপির মহাসচিব সাহেবকে বলেছিলাম, ‘ভাই, আমাকে যদি দেন তবে দিতে পারেন। আর যদি না দেন, তাহলে আমার দৃষ্টিতে মনিরুল হক চৌধুরী সাহেবকে দিলে ভালো হবে। আমি ওনাকে আরো বলেছি যদি আমার কথা রাখেন তাহলে আমি যেভাবে নির্বাচন করতাম, সেভাবেই ওনাকে করিয়ে বিজয় নিয়ে আসবো।’
তাই, দলের মহাসচিব আমার কথা রেখেছেন। মনির ভাই মনোনয়ন পেলেন, আর আমি শুরু থেকেই ওনার সঙ্গে কাজ করছি। মনোনয়নপত্র নেওয়া প্রসঙ্গে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি দেখলাম যে ইয়াছিন ভাই বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগে গিয়ে নিজে মালা পরছেন, আবার মানুষকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন, এমন একটি উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।
এছাড়া, একবার ১২ তারিখ, একবার ১৬ তারিখ আবার ১৮ তারিখ এসব বলে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন। আমার রাগ উঠে যাওয়ায় আমি নমিনেশন পেপার কিনেছি। তবে, এটা কেনার পর আমি বুঝতে পারছি নমিনেশন পেপার কেনাটা আমার ভুল হয়েছে।
এসময়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ইস্যু নিয়ে সাক্কু বলেন, আমি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব এবং চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের কাছে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম।
তখন আমি মহাসচিব সাহেবকে বলেছিলাম, ‘আপনার দল তো ক্ষমতায় নেই, আপনি আমাকে মেয়র বানিয়ে দিতে পারবেন। দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেখা যাবে।’ এই দুইটা কথা বলে আমি এসে পড়েছি। আমি আর কোনো চিঠি দেবো না এটার জন্য।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ মে দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে মনিরুল হক সাক্কুকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর