আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনা-১ আসনে রাজনৈতিক সম্প্রীতি জোরদার ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতারা দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। চিঠিতে তারা তাদের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এই চিঠিগুলো প্রদান করা হয় মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বরগুনা-এর উদ্যোগে আয়োজিত “আন্তঃদলীয় সম্প্রীতি সংলাপ”-এ। সংলাপটি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগিতায় এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর অর্থায়নে সংলাপটি আয়োজন করা হয়।
সংলাপে বরগুনা-১ আসনের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, যুব প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রার্থী ও পাঁচটি দলের জেলা পর্যায়ের সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ দলের অফিশিয়াল প্যাডে স্বাক্ষরিত চিঠি উপস্থাপন করেন। চিঠিতে নেতাকর্মীদের সহিংসতা পরিহার, শান্তি বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব চিঠির অনুলিপি সংলাপে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানকে জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
সংলাপে আরও উল্লেখ করা হয় যে, সহিংসতাবিহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো গত মাসে একটি যৌথ অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছিল। এই সংলাপে সেই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় এবং এর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় রাজনৈতিক নেতারা বলেন, কোথাও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিলে তা প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া হবে। উত্তেজনা সৃষ্টি হলে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অনলাইন ও অফলাইন কোনো মাধ্যমেই ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করা হবে না। একইসঙ্গে নির্বাচনী আইন মেনে চলা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সংলাপ শেষে আয়োজকরা বলেন, দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এই চিঠিগুলো বরগুনায় রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও জননিরাপত্তার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের আস্থা জোরদার করবে।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর