বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকার বহিষ্কারাদেশ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপিতে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসন ও ঐক্যবদ্ধ পথচলার নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়ার বিষয়টি তাকে এবং শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের বাসভবনে এক গুরুত্বপূর্ণ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় শেরপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ সকল ভেদাভেদ ভুলে এক প্ল্যাটফর্মে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জানে আলম খোকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জোর সুপারিশ করা হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আগামী দিনের নির্বাচনী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নামার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করার ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
শেরপুর শহর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু বলেন, "শেরপুর বিএনপিতে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ জটিলতা নিরসনের পথ প্রশস্ত হলো। এখন থেকে আমরা সবাই মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করব।"
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আলহাজ্ব জানে আলম খোকা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন এবং দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, "সকল ভুলের অবসান ঘটিয়ে, মান-অভিমান ভুলে আমরা হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করব। জাতীয়তাবাদী দলকে আরও শক্তিশালী করতে আমার সকল নেতাকর্মী একতাবদ্ধ থাকবে।"
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, "আমাদের এই ঐক্যের মাঝে যেন কোনো তৃতীয় শক্তি প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।"
শেরপুর বিএনপির এই ঐক্যের ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর