• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৭ সেকেন্ড পূর্বে
জিসান নজরুল
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:০৯ রাত

দেড় বছরে ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ ৬ জন, ব্যাহত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

জুলাই বিপ্লবের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসনের মেয়াদ দেড় বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিগত দেড় বছরে কয়েকটি বিভাগে মাত্র ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তীব্র শিক্ষক সংকটে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অন্তত ১৪টি বিভাগের। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সেশনজট।

অল্পসংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক ও অন্যান্য বিভাগ থেকে ধার করা শিক্ষকদের মাধ্যমে চলছে এসব বিভাগ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কিছু বিভাগ সেশনজট কাটিয়ে উঠলেও মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অতিরিক্ত কোর্স পড়ানোর চাপ সামলাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ৩৬টি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৪টি বিভাগ তীব্র শিক্ষক সংকটে ভুগছে। জুলাই আন্দোলনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই তুলনায় উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বশেষ ফোকলোর স্টাডিজ, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এসব নিয়োগ ন্যূনতম এবং শিক্ষক সংকট নিরসনে তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

এদিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে একটি করে শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও তা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষক সংকটে থাকা বিভাগগুলোর মধ্যে চারুকলা বিভাগে ৫ জন, সমাজকল্যাণ বিভাগে ৪ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ৫ জন, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৪ জন, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে ৫ জন, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে ৫ জন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৪ জন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৫ জন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ২ জন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫ জন, ফার্মেসি বিভাগে ৬ জন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে ৩ জন, মার্কেটিং বিভাগে ৫ জন এবং এনভায়রনসেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগে ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন।

প্রতিটি বিভাগে ৬-৭টি ব্যাচ অধ্যয়নরত থাকায় বিভাগীয় কার্যক্রম সচল রাখতে বাধ্য হয়ে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের ধার নিতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানালেও কার্যত কোনো সুরাহা মেলেনি।

এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এরআগে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাতটি বিভাগে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছেন শিক্ষকরা।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসন ২১টি বিভাগে মোট ৫৯টি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আবেদন করেন প্রার্থীরা। তবে এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসির অর্থছাড়ের পূর্বানুমতি না নেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে। পরে ইউজিসি শিক্ষক সংকট বিবেচনায় ছয়টি বিভাগে মাত্র ছয়টি পদে অর্থছাড় অনুমোদন দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ নতুন করে এই ১৪টি বিভাগসহ দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদসহ মোট ২৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই পদগুলো দ্রুত পূরণ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮০ জন শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও মাত্র ৪০৫ জন শিক্ষক রয়েছে। অ্যাক্রিডিটেশনের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারছে না। এছাড়া ইবির বিভিন্ন বিভাগে মাত্র দুই-তিনজন শিক্ষক অনেকগুলো কোর্স পড়াচ্ছেন। এটি ইউজিসির ক্লাস লোড পলিসির পরিপন্থি।

বিভাগীয় সভাপতিদের অভিযোগ, প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ও অব্যবস্থাপনায় শিক্ষক সংকট নিরসন হচ্ছে না। তারা বলেন, অ্যাকাডেমিক অচলাবস্থা ও সেশনজট কাটাতে অতিদ্রুত পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।

ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর প্রশাসন শিক্ষক সংকট মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। শিক্ষকদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হচ্ছে, আর আমরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের সেশনজটও সৃষ্টি হচ্ছে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা অতিদ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহকে একাধিকবার কল দিলেও পাওয়া যায়নি।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com