সাব্বির রহমানের ক্রিকেটার হয়ে উঠার গল্প!

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০১৬, ০৯:০১ পিএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক: সাব্বির রহমান। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়। বর্তমান সময়ে তাকে দেশের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে গন্য করা হয়। আইসিসির সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছেন এ টাইগার হার্টহিটার।

সাব্বির রহমান ১৯৯১ সালের ২২ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রন করেন । তার ডাক নাম রুমন। যদিও সবাই তাকে সাব্বির নামে চিনে। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তাকে রুমান বলেই ডাকে।

সাব্বিরের ক্রিকেটার হয়ে উটার গল্পটা অন্য সকল খেলোয়াড়দের থেকে অনেকটাই আলাদা। ক্রিকেটার হতে গিয়ে ছোটবেলায়ই সাব্বিরকে দিতে হয়েছে বেশ পরীক্ষা।

একবার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাব্বির জানন তার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প। সাব্বির বলেন,‘আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, আমাদের লোকাল মাঠে বড় ভাইরা খেলতো। তাদের সাথে আমি খেলতে চাইতাম। বেশিরভাগ সময়ে শুধু ফিল্ডিংই করতাম। আর মাঝে মাঝে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে ব্যাটিং করতাম। একদিন ভালোভাবে ব্যাটিং করার সুযোগ পাই। রশিদ ভাই নামে আমাদের এলাকায় একজন কোচ ছিলেন। তিনি আমার ব্যাটিং দেখে বললেন, তুমি আমার কাছে ব্যাটিং শিখতে এসো।

সেখান থেকেই আজকের সাব্বির রহমান রুম্মানের জন্ম বলে জানান তিনি নিজেই। তার ফ্যামিলিতে মা বাবা দু’জন ছিলেন দুই রকমের। বাবা চাইতেন আমি ক্রিকেট প্লেয়ার হই। আর মা চাইতেন আমি ভালো করে লেখা পড়া করি। তবে আমি সারাদিন মাঠে পড়ে থাকতাম সকাল ৯টায় যেতাম, দুপুর একটায় আসতাম। তখন আম্মু কান ধরে নিয়ে আসতো। আব্বু অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। তবে এখন সবাই খুব খুশি ।

সাব্বিরে ক্রিকেটার হয়ে উঠার পিছনে যার সব থেকে বড় অবদান সে রশিদ ভাইও জানালেন সাব্বিরের সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা।

তিনি বলেন, সাব্বিরের ফিল্ডিং আমাকে মুগ্ধ করেছিল। রাজশাহীর মডেল স্কুলের কাকলী মাঠে টেনিস বলে খেলছিল। ওখানে দেখেই আমার ফ্রেন্ডস আইডিয়াল ক্রিকেট স্কুলে নিয়ে আসি। একাডেমির নামটা কিন্তু সাব্বিরদের ব্যাচই দিয়েছিল।

এরপর দৈনিক বার্তার মাঠে অনুশীলন করাতাম। নিজেও ক্রিকেটার ছিলাম। নিজের খেলোয়াড়ি জীবন বিসর্জন দিয়ে সাব্বিরদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কেবল সাব্বির নয়, তখন আরও কিছু প্রতিভা ছিল আমার অধীনে। দুর্ভাগ্য, তারা নিজেদের এগিয়ে নিতে পারেনি।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: