রাজধানীর আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা
রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে দিনে-রাতে অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা।প্রশাসনের নাকের ডগায় নারী দেহের পসরা সাজিয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল।
রাজধানীর মিরপুর,শেওড়াপাড়া আগারগাঁও,কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও মগবাজার এলাকায় অসংখ্য আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা।বর্তমানে এ ব্যবসা মহাআকার ধারণ করেছে। আর এসব চলছে প্রশাসনের সামনেই।
গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও মিলছে হরহামেশাই। আবার কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় বেঁছে নিয়েছেন এই পেশা। সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে রাজি নয় এসব হোটেল মালিকরা।এই দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পরা অসহায় নারীরা জানালেন তাদের জীবণের করুণ কাহিনী। এদের অনেকেই অভাবের তাড়নায় এসেছেন এই পেশায়। আবার অনেকে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়েছেন এসব অসামাজিক কাজে।
রাজধানীতে প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় ১০১৫ টির মতো আবাসিক হোটেল আছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এ ব্যবসা। যৌন কর্মীর এক দালাল বিডি২৪লাইভকে জানান,এসব হোটেল থেকে প্রতিমাসে থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।শুধু থানা পুলিশ না আরও বড় বড় লোক ও সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা নেয় বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবাসিক হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকেন যার কারণে তারা রমরমা ভাবে এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের সামনেই এইসব চললেও প্রশাসন কিছু করছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালায় উচ্ছেদ করার জন্য মুলত অভিযান চালায় না।
রেশমা (ছদ্মনাম) এক যৌনকর্মী জানায়, আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারারা এক জন খদ্দেরের কাজ থেকে যে টাকা নেয় তার ৫০ ভাগ তাদের দেয়। বাকি টাকা হোটেল রুম ভাড়া ও তারা ভাগ করে নেয়। অনেক পেশাদার যৌনকর্মী অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে। এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থতাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে। পার্ক, ওভারব্রিজ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি।
শাহজাহান আলী নামের এক খদ্দের বিডি২৪ লাইভকে জানায়, ৮ শত টাকা দিয়ে একজনের কাছে গেছি। সে যৌন কর্মী বকশিস ছাড়া তার শরীরে হাত দিতে দেয় না । এ ব্যবসা আসলে মানুষকে লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই না ।
দেখা যায়, রাজধানীর আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র। টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে। কাছে এলেই ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড।
এক হোটেল বয় নাম না বলা শর্তে বলেন, এক জন খদ্দের যোগার করে দিলে আমাদের কে ২০ টাকা দেয় হোটেল কর্মচারী হিসাবে তো মাসিক বেতন আছেই।এছাড়া একজন খদ্দেরকে ভিতরে নিয়ে আসা আবার নিরাপদে তাদের রাস্তায় পৌঁছে দেওয়া ও তাদের দায়িত্ব।
বিডি২৪লাইভ/এএইচএস/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: