বিলুপ্তির পথে ঢাকার ‘টমটম’

প্রকাশিত: ০২ আগষ্ট ২০১৭, ০৮:০৯ পিএম

ঘোড়ার গাড়ি অর্থাৎ টমটম প্রাচীনতম একটি যানবাহান। এক সময় এ পরিবহনটি জমিদার ও রাজাদের প্রধান বাহন ছিল। ৪ শত বছরের ঢাকার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক মানুষ ঘোড়ার গাড়ির এ ঐতিহ্য ধরে রাখলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে।

ঘোড়ার গাড়ির প্রথম প্রচলন শুরু হয় ইংরেজদের আমলে ভারত বর্ষে সেই সময়ে ঢাকায় এ গাড়িটি আসে। জানা যায়, সে সময় ঢাকায় ২০০-এর অধিক বাহন থাকলেও বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি চলাচল করে ঢাকার বুকে।

ঘোড়ার গাড়ি চালক রহমত উল্লাহ শেখ বিডি২৪লাইভকে জানান, তার ৫ টি ঘোড়ার গাড়ি আছে।তিনি ভাড়া হিসাবেও গাড়ি চালান। আবার কেউ রিজার্ভ করলে তাও দেন। এ পেশা তার বংশগত তার দাদা প্রথম এ বাহন চালানো শুরু করেন। পরে তার বাবা চালিয়েছেন। এখন তিনি চালান।

&dquote;&dquote;

তিনি আরও বলেন, শুনেছি ইংরেজ আমলে অনেক গাড়ি ছিল কিন্তু আমার বাবা যখন চালাতেন তখন দেখেছি ৮০ থেকে ১০০ টা গাড়ি ছিল। আর এখন মাত্র ৪০টি গাড়ি চলে। দিনে দিনে গাড়ির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

কেন কমে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তায় এ বাহন চালানো খুবই কষ্টকর। তারপরেও তেমন ইনকাম নেই। কোন মাসে একটা ২টা রিজার্ভ ভাড়া হয়। কোন মাসে হয় না। আর দিনে মাত্র ৫০০ টাকার মত আসে।এ দিয়ে ঘোড়ার খাবারই জুটে না, আবার ঘোড়ার দেখাশুনার জন্য ২জন লোক রেখেছি। তাদের বেতন দিতে হয়। সব মিলিয়ে পোষায় না। তাই এ বাহনটি বিলুপ্তির পথে।

আগে ঘোড়ার গাড়ি চালাতেন বর্তমানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন নুরু মিয়া। তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, আগে ঘোড়ার গাড়ি চালাইতাম সংসার চলতো না। এখন রাজমিস্ত্রীর কাজ করি ভালোই আছি। 

তিনি বলেন, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে ৫০০ টাকার বেশি আসতো না। তার মধ্যে গাড়ির ভাড়া দিতে হত। ঘোড়ার খাবার ও দিতে হতো। সব মিলিয়ে দিন শেষে দেখা যেত পকেটে টাকা নাই। তাই ঘোড়ার গাড়ি চালানো বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করি। ঐতিহ্যবাহী এ বাহনটি টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
 

বিডি২৪লাইভ/এএইচএস/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: