আত্মার সাথী চেনার ১০ উপায়!

প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৫৩ এএম

আমরা অনেকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্মের আগেই মূলত আমাদের জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করে রেখেছেন। প্রতিটি আত্মার সাথেই একজন আদর্শ আত্মার মিল রয়েছে। আপনার সঙ্গীও আপনাকে পরিপূর্ণ করার জন্য আপনার নিকট চলে আসবে। সে আপনাকে সাহায্য করতে আসবে, আপনাকে পরিপূর্ণ করতে আসবে।

একজন সৎ, আদর্শ এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সঙ্গী আপনার জীবন আরও সুন্দর করে তুলবে। তবে তাকে খুঁজে বের করার জন্য আপনারও একটু কষ্ট করতে হবে। অবশ্যই আপনার ভালোর জন্য নিজের মতই আরেকজন জীবন সঙ্গী বেঁছে নিতে হবে আপনাকে। খুঁজে নেয়ার পর মিলিয়ে নিন যে, সে আপনার জন্য আসলেই ঠিক কিনা? আসুন মিলিয়ে নেয়া যাক-

১. আপনি নিজ থেকেই বুঝতে পারবেন যে, সে আপনার জন্য আসলেই পারফেক্ট। আপনার নিজের আত্মা তার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকবে এবং সবসময় তাকে কাছে পেতে চাইবে। আপনি আপনার জীবন সঙ্গীর মাঝে যা যা চেয়েছেন, তা যদি তার মাঝে নাও থাকে, এরপরও আপনি শুধু তাকেই চাইবেন। আর এটি প্রথম লক্ষণ যে, সে আসলেই আপনার আত্মার সঙ্গী।

২. আপনাদের মাঝে প্রায়ই দেখা হয়েছে, কিন্তু একে-অপরকে চিনতে পারতেন না। এমন একজোড়া দম্পতির কাছে জানা যায়, তারা একসাথে একই এলাকায় থাকতেন কিন্তু বিয়ের আগে তাদের কখনও দেখা হয় নি। আসলে সঠিক সময়ের আগে আপনি কখনও তাকে পাবেন না।

৩. আত্মার সঙ্গীর সাথে জন্ম থেকেই একটি কানেকশন থাকে। তাই আপনি যেখানেই থাকেন না কেন? সঠিক সময়েই তার সাথে দেখা হবে আপনার।

৪. আপনাদের দুইজনের মাঝে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। ভালবাসেন, তাই বলে এই নয় যে সারাক্ষণ একে-অপরের সাথে লেগে থাকতে হয়। একে-অপরের সবসময়ের খবর জানেন এবং যার যার নিজের কাজের জন্য নিজস্ব সময় রয়েছে, এটাই আত্মার সম্পর্ক।

৫. আপনারা একে-অপরের মনের কথা শুনতে পারেন। সে কিছু না বললেও আপনি তার মনের সব কথা বুঝতে পারেন। তার হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা অভিমান আর কষ্ট আপনার চোখকে কখনও ধোঁকা দিতে পারে না।

৬. আপনারা একে-অপরের ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। তার কষ্ট আপনার চোখে বুঝা যায় আর আপনার কষ্টের সমান ভাগীদার সে নিজে থাকে। আপনারা একে-অপরের হাসি-কান্না ভাগ করে নেন।

৭. আপনাদের দুইজনের ভবিষ্যৎ চিন্তাধারা এক। দুইজনের পথের প্রথম লক্ষ্য একে-অপরের সঙ্গী হওয়া। তবে একে-অপরের ভবিষ্যৎ সাজিয়ে গুছিয়ে নিতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

৮. আপনারা একে-অপরকে কিছু বলতে ভয় পান না। আপনার সঙ্গীর কোন বিষয় আপনার খারাপ লাগলে সেটা বলে ফেললেও কোন ধরণের সমস্যা হয় না আপনাদের মাঝে। এসব বিষয় খুব সুন্দর করে হ্যান্ডেল করতে পারেন আপনারা। এতে করে একসাথে জীবন কাটানো অনেক সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

৯. আপনাদের মাঝে কোন ঈর্ষা কাজ করে না। যত সুন্দরী কেউ আসুক না কেন, কিংবা হ্যান্ডসাম কোন ছেলে এসে আপনাদের মাঝে কোন ঝামেলা কেউ কখনও করতে পারবে না। কারণ, আপনাদের মাঝে অন্য কারও কোন যায়গা নেই।

১০. আপনারা একে-অপরকে অনেক শ্রদ্ধা করেন। একজন আরেকজনের সিদ্ধান্ত ভক্তির সাথে বিবেচনা করেন এবং তা মেনে নেন। কথা শুনে দুইজনের মাঝের সমস্যা নিরূপণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া আত্মার সম্পর্ককে আরও বেশি শক্তিশালী করে। সূত্রঃ লাইফ হ্যাক

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: