ইতিহাস পাল্টানো পরকীয়া!
সম্পর্ক অনেক রকমের হয়। তবে কিছু সম্পর্ক আছে যেগুলোর সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের সমস্ত আবেগ, অনুভূতি আর ভালোবাসার নরম স্পর্শ। যদিও আমাদের নিজেদের কাছে এই ভালোবাসার সম্পর্ক আর মানুষটিই পুরোটা পৃথিবী, একটা সময় ইতিহাসের গর্ভে ঠিকই হারিয়ে যেতে হবে একে। ঠিক যেমনটি হারিয়েছে আরো অনেকে আর তাদের ভালোবাসার মধুর সম্পর্ক।
তবে বাস্তবে এমন কিছু সম্পর্ক রয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পাতায় যেগুলোকে ইতিহাস নয়, বরং ইতিহাসকেই পাল্টে দিয়েছে যারা। চলুন দেখে আসি এমনই তিনটি সমালোচনাপূর্ণ সম্পর্কে জড়ানো মানুষ আর তাদের ভালোবাসার গল্পকে-
১) মেরী গডউইন ও পার্সি বেসসি শেলি: এ দুজনের যখন প্রথম দেখা হয় তখন মেরীর বয়স ১৬ আর শেলির ২১। মেরী অবিবাহিত থাকলেও ততদিনে রীতিমত বিবাহিত ছিলেন শেলি। তবুও সব বাধা অতিক্রম করে একে অন্যের কাছে আসেন তারা। ভালোবেসে ফেলেন। অবশ্য পরবর্তীতে স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসলে কিছুই করার থাকে না শেলির। অসহায় হয়ে পড়েন এই কবি। ১৮১৪ সালে এই দুই লেখকের মিলন পুরো সাহিত্যজগতকেই একেবারে পাল্টে দেয়। নতুন করে রচনা করে সাহিত্যের ইতিহাস। কিছুদিন পরেই শেলির প্রথম স্ত্রী মারা যান আর পুনরায় মিলিত হন মেরী ও শেলি। অবশ্য এর কিছু বছর পরেই মারা যান শেলিও। তবে তাদের দুজনের লেখনী আজও অব্দি অমর করে রেখেছে তাদেরকে ইতিহাসের পাতায়।
২) ক্যাথেরিন দি গ্রেট ও গ্রেগরী পটেমকিন: ক্যাথরিন দি গ্রেট তখন নিজের বয়স্ক স্বামীর ওপরে বেশ ক্ষিপ্ত। এসময় তাকে নিজের ক্ষমতা পেতে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ১০ বছরের ছোট পটেমকিন। প্রচণ্ডভাবে সাহায্য করেন তিনি ক্যাথরিনকে। বুদ্ধি দিয়ে, শক্তি দিয়ে- সব ভাবে সাহায্য করতে থাকেন তিনি। আর এই সাহায্য দেয়া-নেয়ার এক পর্যায়ে ভালোবেসে ফেলেন তারা একে অন্যকে। পরবর্তীতে ক্যাথরিনের স্বামী মারা গেলে একে অন্যের ভালোবাসাকে প্রকাশ করেন তারা। প্রচণ্ড শক্তিশালী এক ক্ষমতবলয় তৈরি করেন এই দুজন নিজেদের চারপাশে। রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিহাসকে অনেকটাই নিজেদের বশে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। পরবর্তীতে ক্যাথরিনের পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর নারী হয়ে ওঠার পেছনে পটেমকিনের সঙ্গকেই বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ইতিহাসবিদেরা।
৩) চার্লস ডিকেন্স ও নেলি টার্নান: মাঝবয়েসী পুরুষদের ভেতরে খানিকটা হলেও অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করা খুব একটা নতুন বিষয় নয়। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু হলে পুরো ঘটনাটাই নিয়ে নেয় অন্য মোড়। আর প্রায়ই ঘটে থাকা এই ব্যাপারটি থেকে বেরোতে পারেননি বিখ্যাত লেখক চার্লস ডিকেন্সও। নয় সন্তানের বাবা ডিকেন্স ৪৫ বছর বয়সে ভালোবাসেন ১৮ বছর বয়সী নেলিকে। আর সেই ভালোবাসার জন্যে ছেড়ে দেন স্ত্রীকেও। পরবর্তীতে মৃত্যুর আগ অব্দি নেলির সাথেই ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন এই লেখক। বলা হয় ডিকেন্সের অনেক লেখাতেই নেলিকে খুঁজে পাওয়া যায়। তার অবদান ডিকেন্সের লেখায় অসামান্য।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: