হাতে চুড়ি পরার বৈজ্ঞানিক কারণ!

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৭:১৯ পিএম

চুড়ি এমন একটি অলংকার যা সকল মেয়েরা হাতে পড়তে ভালোবেসে থাকে। হাতকে সুন্দর রাখার জন্য আমরা সাধারণত চুড়ি পরে থাকি। বাঙালি বিবাহিত মহিলারা হাতে পলা পড়ে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরণের এবং নানা রঙের চুড়ি পড়ার প্রথাও আছে। চুড়ি পড়া শুধু মাত্রই একটি প্রথা কিনা, না চুড়ির পরার পিছনে কিছু গভীর বৈজ্ঞানিক কারণ লুকিয়ে আছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বৈজ্ঞানিক কারণগুলি-

১) রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে- 
আগেকার দিনের মহিলারা বাড়িতে থাকতেন এবং বাড়িতে থেকে কঠোর পরিশ্রম করতেন। তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি ছিল রক্তের সঠিক চলাচল। চুড়ি কিন্তু আমাদের রক্তের সঠিক চলাচলকে বজায় রাখে। চুড়ির সাথে আমাদের হাতের কব্জির ঘর্ষণ ঘটে এবং তার ফলে আমাদের রক্তের চলাচল বেড়ে ওঠে। রক্তের চলাচল বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আমাদের স্বাস্থ্যের বিকাশও ঘটে।

২) অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে- 
কাঁচের চুড়ি পরিবেশের শুদ্ধতা এবং শুভ শক্তি নিয়ে সেইটা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করায়। চুড়ির আওয়াজ একটা শান্তির আবহাওয়া তৈরি করে এবং তার ফল স্বরূপ আমাদের মনের অশুভ ভাবনা দূর হয়। তাই এরজন্য আমরা বলি যে চুড়ি অশুভ শক্তিকেও দূর করে। মনে পজেটিভ ভাইব কাজ করে।

৩) মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে- 
যে সব মহিলারা হাতে চুড়ি পরেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বেশি ভালো হয়। কাঁচের চুড়ি আমাদের মনের প্রচন্ড রাগ বা মানসিক আবেগকে কমিয়ে তা স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে। দেখা যায় যে যারা হাতে চুড়ি পরেন তাদের ধৈর্য শক্তি বেশি হয় সেইসব মহিলাদের থেকে যারা চুড়ি পড়েন না।

৪) হাতের হাড় শক্ত করে- 
মেয়েদের হাড় ছেলেদের তুলনায় দুর্বল হয়। সোনা এবং রুপো দিয়ে বানানো চুড়ি আমাদের শরীরের শক্তির সঞ্চলন করে যা আমাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই দরকারী। হাতের সাথে সোনা বা রুপোর চুড়ির ঘর্ষণের ফলে,আমাদের শরীর অতি অল্প পরিমানের সোনা বা রূপোকে শোষণ করে নেয়। এর ফলে হাতের হাড়ের স্বাস্থ্যের ঘটে।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: