যেভাবে করবেন আলিঙ্গন!

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৩:৫৮ পিএম

আলিঙ্গন হচ্ছে শারীরিক অন্তরঙ্গতার একটি অংশ। যা সার্বজনীনভাবে মনুষ্য সম্প্রদায়েই দেখা যায়। আলিঙ্গনের মাধ্যমে দুই বা তার অধিক ব্যক্তি একে অপরকে ঘাড়ে, পশ্চাতে অথবা কোমড়ে; বাহু দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে বেষ্টন করে। যদি দুইয়ের অধিক ব্যক্তি এই আলিঙ্গনে জড়িত থাকে তাহলে তাকে দলগত আলিঙ্গন বলা হয়।

আলিঙ্গনের সাথে চুমু দেওয়া ইশারায় বাতচিৎ করার একটা অংশ বলে ধরা হয়। তবে এ বিষয়টা নির্ভর করে সেই সমাজের সংস্কৃতি, স্থান-কাল-পাত্র, উভয় ব্যক্তির মাঝে আন্তঃসম্পর্কের উপর। আলিঙ্গন ভালোবাসা, স্নেহ, বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব অথবা সহমর্মিতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আলিঙ্গন বিশেষ করে শব্দের মাধ্যমে ভাব প্রকাশে অসমর্থ হলে সমর্থন, স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্তনার একটা রুপ হয়ে উঠতে পারে। আলিঙ্গন স্নেহ এবং আবেগের উষ্ণতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আলিঙ্গন দিয়ে সম্পর্ক কতটা মজবুত হয় আজকে লেখাতে সে সম্বন্ধেই জানানোর চেষ্টা করবো।

স্পর্শ বিশ্বাসকে করে শক্তিশালী। স্পর্শকে উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস, আস্থা। তাই তো কাছের বা পরিচিতদের স্পর্শে আনন্দময় হয়ে ওঠে মন, দোলা দেয় শরীরে সুখ-হরমোন। সামান্য স্পর্শই অসুস্থ আপনজনকে সুস্থ হওয়ার পথে এগিয়ে দেয়।

শারীরিক স্পর্শে সাড়া দেয়া শুরু হয় মাতৃগর্ভেই। প্রতিটি মা-ই তা জানেন। গর্ভের ভ্রূণের বয়স যখন দু’মাস আর মাত্র দুই সেন্টিমিটার লম্বা তখন গর্ভবতী কোনো কারণে আনন্দিত হয়ে তার পেটে হাত বুলালেই তা টের পান। সেটাই হচ্ছে স্পর্শ বোঝার প্রথম প্রকাশ, এমনটাই জানিয়েছেন টাচ বা স্পর্শ বিষয়ক জার্মান গবেষক ড. মার্টিন গ্রুনভাল্ড।

শিশুকে যত বেশি স্পর্শ বা আদর করা যায়, শিশুর জন্য ততটাই মঙ্গল। বিশেষ করে প্রি-ম্যাচিউর বেবির জন্য স্পর্শ বা আলিঙ্গন অত্যন্ত জরুরি। ইনকিউবেটরে থাকা শিশুকে প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য কোলে নেয়া উচিত। এতে মায়ের শরীরের উষ্ণতা শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে। পরবর্তী জীবনের জন্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, 'ঘাড়ে একটু হাত বুলিয়ে দেয়া কিংবা চিবুকে একটু আদরের স্পর্শ বা পাশাপাশি বসে টিভি দেখা–জীবনসঙ্গীর জন্য প্রতিদিনের ভালোবাসায় একটু মধু ঢালার মতো।'

দুঃসংবাদ বা শোক সংবাদে প্রিয়জনদের আন্তরিক আলিঙ্গন সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা কষ্ট কমায়। জীবনসঙ্গীদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের ভূমিকা নিয়ে করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রী বা পার্টনারের মধ্যে যত বেশি শারীরিক যোগাযোগ বা আলিঙ্গন, অপরের প্রতি তারা তত বেশি সন্তুষ্ট।

তাইতো লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মার্টিন গ্রুনভাল্ডের মতে, 'স্পর্শ ও আদর ছাড়া কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীই বাঁচতে পারেনা, মানুষ তো নয়ই।'

সূত্র: ডয়চে ভেলে

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: