নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০১৮, ১০:০৬ পিএম

নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৯ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব বরাবর এই অভিযোগ করেন মো. উজ্জ্বল হোসেন মুরাদ নামে এক ব্যক্তি। আসক ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন বাতিল এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

রাজধানী ঢাকার ২ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের অষ্টম তলায় আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের কার্যালয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. সামসুল হক।

কমিশন সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কমিশনের কাছে ১৯৯ সংস্থা পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জানায়। ২ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই করে এর মধ্য থেকে ১২০টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয় কমিশন। এরপর এই সংস্থাগুলোর ওপর আপত্তি/ অভিযোগ/ দাবি বিষয়ে ২ মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় কমিশনে। এরপর জুনে ১১৯টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে ৫ বছরের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। এর মধ্যে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনও রয়েছে।

&dquote;&dquote;এর আগেও আসক ফাউন্ডেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বলেও এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ সম্প্রতি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনকে নিবন্ধিত দিয়েছে। অসহায়, গরীব, দুঃখী, নির্যাতিত মানুষের মানবাধিকার অধিকার রক্ষা ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা, লাখ লাখ টাকা আর্থিক লেনদেন করে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে বিপুল অর্থের বিনিময়ে সংস্থার পরিচয়পত্র বিক্রি (যে যেই পদ চায়, শিক্ষিত/অশিক্ষিত, মামলাধারী) করছে। সংস্থাটি সম্প্রতি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাথে কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় অভিযোগকারী মো. উজ্জ্বল হোসেন মুরাদের সঙ্গে। তার দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী। তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে এর আগে শুনানিও হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তখন কেন কোনো আপত্তি তুলে ধরলেন না জানতে চাইলে মো. উজ্জ্বল হোসেন মুরাদ বলেন, তখন আবেদন করার যথার্থ সময় ছিল না। আমি নিজে শিক্ষার্থী। একটু ব্যস্ত ছিলাম নিজের লেখাপড়া নিয়ে।

অভিযোগ পত্রের সঙ্গে বেশকিছু তথ্য-প্রমাণও তুলে ধরেছেন মুরাদ। তার দাবি, আসক ফাউন্ডেশনে আগে কাজ করতেন তিনি। জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা হিসেবেও দাবি করে আসক ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মো. সামসুল হক বলেন, কমিশনে অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি কমিশন বুঝবে।

বিডি২৪লাইভ/আরএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: