জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে যা বলল মিয়ানমার

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০১৮, ০৩:৩৪ পিএম

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ ও নিমূর্ল অভিযান নিয়ে করা জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর করা এসব বর্বরোচিত অন্যায়ের জন্য মিয়ানমারের সামরিক কর্তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করেছিল জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

বুধবার (২৯ আগস্ট) মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, ‘তার দেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের দেওয়া প্রতিবেদন মেনে নিতে কিংবা তা গ্রহণ করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মিয়ানমার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে।’

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনকে মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি দেইনি। তাই মানবাধিকার মানবাধিকার পরিষদের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই এবং তাদের সুপারিশও গ্রহণ করতে পারছি না।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এটি প্রথম প্রতিক্রিয়া। এর আগে, চীন জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, মিয়ামারের ওপর চাপ প্রয়োগে সমস্যার সমাধান হবে না।

প্রসঙ্গত, রাখাইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করে সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের দপ্তরে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, রাখাইনে ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনীর অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল গণহত্যা। এ জন্য মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করেছে এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত এক বছর ধরে মাঠপর্যায়ে কাজ করে অন্তত ৮৭৫ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘের এই তথ্যানুসন্ধান মিশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।তথ্যানুসন্ধানী মিশনের সদস্যরা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন।

রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র, ভিডিও, ছবি ও স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করেছেন। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, গবেষক আর কূটনীতিকদের সঙ্গে অনেকবার বৈঠক করেছেন।

২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের জেনারেলদের তদন্ত করে ‘যথাযোগ্য’ আদালতে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার মতো যথেষ্ট তথ্য পেয়েছে তথ্যানুসন্ধানী মিশন। সূত্র: বিবিসি ও আলজাজিরা

বিডি২৪লাইভ/এএআই/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: