‘ক্ষুব্ধ’ শেখ হাসিনার কঠোর বার্তা

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৬ এএম

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশের নানা স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন্দল বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে বরগুনা ও দিনাজপুরে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। সেখানকার দুই এমপিকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করার মতো ঘটনা ঘটেছে।

দলের এমন কোন্দল নিয়ে ক্ষুব্ধ খোদ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ নিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকদের শাসিয়েছেন এবং দলে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেক কষ্ট করে আজকে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছি। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে তাদেরকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। আমাদের দলের নেতাকর্মী যারা আছেন তাদের যদি স্থানীয় সংসদ সদস্য বা দলের নেতাদের প্রতি কোনো বক্তব্য থাকে, সেটা তারা লিখিত আকারে আমাদের দলকে জানাক। কিন্তু সেটা না করে দলের এমপিদেরকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা, এমপিদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা, এটা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী; সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না।’

স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে যারা এমন আচরণ করেছেন, তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে এবং যেসব এমপির বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে এটা ঘটেছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

&dquote;&dquote;বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই সাথে যেসব নেতা ও এমপি এখনো অন্য দলের নেতাদের দলে ভিড়াচ্ছেন, তাদের তালিকা করারও নির্দেশ দিয়েছেন দলের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল নিরসনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব দূরত্ব মিটিয়ে ফেলতে চায় দলটি। এজন্য দলের কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

রাতের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে তাদের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক বিভাগের খোঁজ খবর নেন এবং যেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে, ওই সব সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। এসময় অনেক সাংগঠনিক সম্পাদককে শাসান শেখ হাসিনা।

এছাড়াও দলের ওই বৈঠকে সদ্য অনুষ্ঠিত সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করা হয়। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট সিটি আওয়ামী লীগের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য করণীয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: