গাজর ও বিটের রসের উপকারিতা, জানলে অবাক হবেন!
গাজর এবং বিটে উপস্থিত ‘ডিটক্সিফায়ার’ শরীরের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে দেহের অন্দরে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়মিত এক গ্লাস করে বিটের রস খাওয়া শুরু করলে শরীরের যে যে উপকারগুলি হয়ে থাকে, সেগুলো হলো-
১. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বিটরুট বা বিটের রস খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিণ্ডের অন্দরে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমে। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের ৩০-এর পর থেকেই নিয়মিত বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: বাড়ির বাইরে খেতে খেতে পাকস্থলি কাজ করা বন্ধ করে দিতে বসেছে। ফলে বাড়ছে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ? ফিকার নট! কাল থেকে এক গ্লাস করে বিট রুটের রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন স্টমাক তার হারিয়ে যাওয়া ক্ষমতা ফিরে পাবে। ফলে হজম ক্ষমতা এমন বেড়ে যাবে যে অম্বল ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। রাশি অনুসারে এই সপ্তাহটা কেমন যাবে জেনে নিতে চান নাকি? বাড়ির এই জায়গায় লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখলে দেখবেন দুঃখ আপনাকে ছুঁতে পর্যন্ত পারবে না! জন্মাষ্টমী দিন ভগবান কৃষ্ণের মন জয় করতে বিভিন্ন রাশির জাতকদের কি কি নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে?
৩. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে: যেভাবে স্ট্রেস আমাদের ঘিরে ধরছে, তাতে রক্তের আর কি দোষ বলুন! রাগে-দুঃখে-হতাশায় সে ফুলে ফেঁপে উঠছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে রক্তচাপ। এমন অবস্থায় রক্তকে ঠাণ্ডা করতে পারে একমাত্র বিটের রক্তিম রস। আসলে রক্তের মতোই দেখতে এই রসটিতে রয়েছে নাইট্রেস, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে: প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, বিটেইন, ভিটামিন বি, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এই সবজিটি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। কারণ সবকটি উপাদানই নানাভাবে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, লিভারের অন্দরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা যাতে ঠিক মতো বেরিয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে বিটের অন্দরে থাকা বিটেইন এবং ফাইবার।
৫. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: মস্তিষ্কের সোমাটোমটোর কটেক্স অঞ্চলে অক্সিজেনেশানের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে ব্রেন নিউরোপ্লাস্টিসিটি বাড়াতে বিটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর একবার মস্তিষ্কের এই বিশেষ অংশটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘঠতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বিটের অন্দরে থাকা নাইট্রেট শরীরে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে যায়, যা ব্রেণের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সূত্র: বোল্ডস্কাই ডটকম
বিডি২৪লাইভ/এএআই/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: