সাবেক ডিসি ও ইউএনওসহ তিনজনের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত
সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন, অন্যজন আশাশুনির সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানাকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার দায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করেছে আদালত। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার সাতক্ষীরা সিনিয়র জজ আদালতের বিচারক এ রায় স্থগিত করেন।
মামলার অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি আশাশুনি সদর সহকারি ভূমি অফিসার কামাল হোসেন আদালতে মামলাটির রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি আদালতে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আগামী এক মাসের জন্য গতকালের দেওয়া সাজার রায় স্থগিত করেছেন।
আাশাশুনি সদর সহকারি ভূমি অফিসার কামাল হোসেন বলেন, আশাশুনি সদর ভূমি অফিস প্রাচীর দেওয়ার সময় স্থানীয় ননি বালা হালদার বাধা দেয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তে টেন্ডারের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। ওই সময় ননি বালা আদালতে প্রাচীর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু প্রাচীর নির্মাণ শেষ হওয়ার এক মাস পর আদালত প্রাচীর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। ওই আদেশ পেয়ে ননি বালা হালদার নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্তেও প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে আদালতে ফের মিস কেস করে। এই মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার দায় আনা হয়েছে আমাদের উপর।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা (আশাশুনি) আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী সিভিল প্রসিডিউরের ৩৯ আদেশ ২(৩) রুল এর বিধানমতে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে তিন মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরারা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক কাসেম মো. মহিউদ্দিন। তিনি বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব। অন্যজন আশাশুনির সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, তিনি বর্তমানে নরসিংদীর এডিসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অপরজন, আশাশুনি সদর সহকারী ভূমি অফিসার কামাল হোসেন।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ননী বালা বাদী হয়ে এক একর ৬৮ শতাংশ জমির দাগ নাং উল্লেখ করে দেওয়ানি মামলা করেন। যার মিস কেস ১৩/২০১৭ থেকে দেওয়ানি ৬০/২০১৭ এর এক নির্দেশে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই উক্ত আদালত এক একর ৬৮ শতাংশ জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও পরস্পরের যোগসাজশে উক্ত জমিতে বিবাদী পক্ষকে যেতে সহায়তা করেন। এতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই মামলার শুনানির দিন ছিল। দীর্ঘ শুনানি শেষে সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী অভিযুক্ত তিনজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। তাছাড়া তাদেরকে আগামী এক মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া দিয়েছে আদালত। নিদৃষ্ট সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে বিচারিক আদালত।
বিডি২৪লাইভ/এমকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: