পিএসজির বিপক্ষে লিভারপুলের জয়
লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন অ্যানফিল্ডের ম্যাচে ফেভারিট পিএসজি। তবে কথাটা মুখে বললেও তার দল কাজে দেখালো অন্যকিছু। ৩৬ মিনিটের মধ্যে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ২ গোলের লিড নেয় গত আসরের রানার্স-আপ। ফিরমিনোর জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেন ড্যানিয়েল স্টুরেজ। ৩০ মিনিটে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের লক্ষ্যভেদেই এগিয়ে যায় লিভারপুল।
সেই উৎসব থামতে না থামতেই আবার গোল পায় অলরেডস। ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। স্পট কিক থেকে পাওয়া সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি জেমস মিলনার। ২ গোলে পিছিয়ে পড়া পিএসজি অবশ্য খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দেয় মিনিট চারেক পরই, যখন তারা এক গোল শোধ করে থোমাস মুনিয়ের লক্ষ্যভেদ করলে। যদিও ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফিরতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করে গেছে পিএসজি। নেইমার, কাইলিয়ান এমবাপে ও এদিনসন কাভানি একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছেন লিভারপুলের রক্ষণে। কিন্তু সফল হতে পারছিলেন না কিছুতেই। শেষমেষ ৮৩ মিনিটে সাফল্য পায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে ১২ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করে সমতায় ফেরান পিএসজিকে।
অ্যানফিল্ডে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে ৩-২ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজি। চোখের ইনজুরির কারণে ফিরমিনোর খেলা নিয়ে ছিল সংশয়। বদলি হিসেবে নেমে দলের জয়ের নায়ক বনে যান এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দীর্ঘ ২১ বছর পর মুখোমুখি হয় দুই দল। এটি তাদের তৃতীয় সাক্ষাৎ।
এর আগে ১৯৯৭ সালে ইউয়েফা ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপের সেমিফাইনাল খেলে লিভারপুল ও পিএসজি। সেবার নিজ মাঠে ৩-০ গোলে জয়ের পর অ্যানফিল্ডে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালের টিকিট কাটে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। শনিবার ৫২% বল দখলে রাখে লিভারপুল। নিজ মাঠে অল রেডদের আধিপত্য ছিল বেশি। পিএসজির গোলমুখে মোট ১৭টি শট নেন সালাহ-মানে-স্টারিজরা। এরমধ্যে ৭টি শট থাকে অনটার্গেটে। বিপরীতে নেইমারদের ৯টি শটের মধ্যে ৫টি ছিল সরাসরি গোলমুখে। ফিরমিনোর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পান ড্যানিয়েল স্টারিজ। ৩০ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। পেনাল্টি থেকে ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার জেমস মিলনার। ৪০ মিনিটে পিএসজিকে ম্যাচে ফেরান রাইটব্যাক টমাস মুনিয়ের। আর ৮৩ মিনিটে নেইমারের বানিয়ে দেয়া বলে ফিনিশিং টানেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৯১ মিনিটে ডি-বক্সের ডান পাস থেকে ফিরমিনোর শটে পরাস্ত হন পিএসজি গোলরক্ষক আলফোনসে অ্যারেওলা।
আর ম্যাচ শেষে পিএসজির জার্মান কোচ টমাস টুকেল বলেন, ‘ফলাফল হয়তো ম্যাচের গল্প বলছে না। লিভারপুল জয়সূচক গোল পাওয়ার আগে হুলিয়ান ড্রাক্সলার সুযোগ মিস না করলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো। আমার কাছে ম্যাচের ফলাফলটা যৌক্তিক ও সঠিক নয়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও আমরা আত্মবিশ্বাস হারাননি। আমরা নিজেদের সাহসিকতা ও মানসিক শক্তি দেখিয়েছি।’ পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে পিএসজি বধে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘পিএসজির বিপক্ষে লিড ধরে রাখা কঠিন। কিন্তু আমরা পেরেছি। গোছানো ফুটবল ও বড় মানসিকতা এর উৎস। ১১ জন খেলোয়াড়ই এর অংশ। আমরা প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলেছি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ছেলেরা।’
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: