জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ভাঙন, যা বলল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৯ পিএম

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার লাউঞ্জে সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হয় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সংবাদ সম্মেলন। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত বিকল্পধারাকে বাদ দিয়েই এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন গণ ফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ এর সম্মেলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সংবাদ সম্মেলন করেন বিকল্পধারার প্রধান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি চৌধুরী)। তিনি বলেন, ‘বিকল্পধারা বিএনপিকে শর্ত দিয়েছিল, জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করলে তারা জাতীয় ঐক্যে যোগ দেবে। কিন্তু বিএনপি সেই শর্ত মানেনি। সেই কারণেই তাঁরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেননি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট- এর সঙ্গে বিকল্পধারার সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে এবার মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের দু’জন প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান ও ড. আবদুর রাজ্জাক। তারা বলেন, ‘জনভিত্তি ছাড়া কোনো ঐক্য টিকতে পারে না। আমরা আগেই বলেছিলাম ড. কামাল ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) দের ঐক্যে কোনো ফলাফল আসবে না। কারণ শূন্য যোগ শূন্য সমান শূন্যই হয়। অনেকগুলো শূন্য যোগ করলেও অন্য কোনো অঙ্কের ফিগার দাঁড়াবে না। কারণ এসব নেতা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত, কিন্তু জনভিত্তি নেই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘ড. কামাল ও বি. চৌধুরীরা ঐক্য করলো কি না করলো সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে তাদের ঐক্য করায় মোটামুটি খুশি হয়েছিলাম যে এই ঐক্য নির্বাচনে অংশ নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা একত্রিত হয়ে ঐক্য করেছে তাদের সবাইকে মানুষ চেনে। তারা কখন কোন রাজনৈতিক দল করেছেন সেটাও মানুষ জানে। তবে ঐক্য থাকুক আর না থাকুক তারা যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। অতীত ভুলে নতুন করে গঠনমূলক কিছু করলে খুশি হবো।’

এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যখন তারা ঐক্য করে তখনই বলে দিয়েছি ঐক্য হলেও আমরা শঙ্কিত না। কারণ তাদের আমরাও চিনি বাংলাদেশের মানুষও চেনে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের চেনে ব্যক্তি হিসেবে। তাদের ঐক্য কোনো কাজে আসবে না। কারণ শূন্য যোগ শূন্য সমান শূন্যই হয়। এ পথ হারা পাখি। তাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত একটা ভাবমূর্তি আছে। কিন্তু জনভিত্তি নেই। এ কারণে রাজনীতিতে তারা সফল হতে পারবে না। তবে বিএনপি নিঃসন্দেহে একটা বড় দল কিন্তু দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে তারাও তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: