প্রতীক পেয়েই নাওয়া-খাওয়া ও বিশ্রামকে ছুটি
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়েছে প্রার্থীদের। ভোটারসহ এলাকাবাসীকে প্রচারণার শুরুতেই প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী শুভ দিনের ছালাম জানিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যক্রমে দারুণ ভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকলেই ছুটে যাচ্ছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। ব্যস্ততা বেড়েছে কর্মীদেরও। গণসংযোগ, সভা সমাবেশ আর কর্মীদের নিয়ে চলছে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা। সেই মোতাবেক ব্যস্ত দিন পার করছেন প্রার্থী ও কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে মোট ৭জন প্রার্থী থাকলেও মুলত নৌকা আর ধানের শীষেই হবে প্রকৃত লড়াই। তাই নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থীর দৌড়ঝাপ চোখে পড়ার মত। তারা যেন নাওয়া-খাওয়া বিশ্রামকে নির্বাচন পর্যন্ত দিনগুলোকে ছুটি জানিয়েছেন। দিনরাত ছুটে চলেছেন এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায়। কিভাবে নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়া যায়, তা নিয়েই চলছে নানা তৎপরতা।
মহাজোট মনোনীত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক আইজিপি, সচিব ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। নূর মোহাম্মদ চাকুরি জীবনের পুরোটা সময় এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর রাখতেন। যে কোন প্রয়োজনে তাঁর কাছে গেলে সাধারণ মানুষ কখনো নিরাশ হতেন না। তিনি বাড়ি আসলেই লোকজন একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ছুটে যেতেন তাঁর বাড়িতে।
চাকুরি থেকে অবসরে এসে সাবেক এই পুলিশ প্রধান, সচিব ও রাষ্ট্রদূত নির্বাচনী এলাকায় শুরু করেন গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ আর ওঠান বৈঠক। বিগত দুই বছরে নির্বাচনী এলাকায় দুই শতাধিক গণসংযোগ সভা সমাবেশ করে তাঁর একটি নিজস্ব ভোট ব্যাংক তৈরি করেন তিনি। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মী, সমর্থকও রয়েছেন।
এর বাইরে নৌকা প্রতীকের নিজস্ব ভোটব্যাংক তো আছেই। সব মিলিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা আর জনসমর্থন বিজয়ের নিশান উড়ানোর মত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তাঁকে। তারপরও ছুটে চলেছেন দিনরাত। ভোটারদের শুনাচ্ছেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা। এর ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নূর মোহাম্মদ ভোট প্রার্থনা করছেন নৌকা প্রতীকে।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনীত বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। ২০০১ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হয়েছেন। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা সোজা সাপটা কথা বলা আর দলের কর্মকান্ডে বিরুদ্ধাচারণের জন্য নানা ভাবে আলোচিত সমালোচিত হলেও তাঁর জনপ্রিয়তার ঘাটতি দেখা দেয় নি।
আপীল করে তাঁর প্রার্থিতা বৈধ হওয়ার সংবাদে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। এছাড়া দুই বারের নির্বাচিত সাবেক এই সংসদ সদস্যের একটি ব্যক্তিগত বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। প্রার্থী এবং কর্মীরা বিজয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা।
আল্লাহভীরু নেতা নির্বাচন করে দেশে স্থায়ী শান্তি, মানবতার মুক্তি, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনের মো. সালাহ উদ্দিন রুবেল হাতপাখা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানাচ্ছেন।
সিপিবি প্রার্থী কমরেড নূরুল ইসলাম ভিশন-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাস্তে প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।
জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে আব্দুল জব্বার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী তারেক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম আম প্রতীক এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো.রেজাউল করিম হারিকেন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: