বাবা-মা জানতেন না ছেলে জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থী

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:০৬ পিএম

ইসমাইল হোসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী। বয়সে ২৭ বছরের এই তরুণ সম্ভবত দেশের সব থেকে কম বয়সী পুরুষ প্রার্থী। ঢাকায় ছোট একটি ব্যবসা করেন। 

বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ফয়লা গোরস্থানপাড়ায়। তার বসবাসের এলাকাটি ঝিনাইদহ-৪ নির্বচনী এলকায়। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন পাশ্ববর্তী সংসদীয় আসন ঝিনাইদহ-৩ এ। বাবা ইব্রাহিম হোসেন একজন সাধারন ব্যবসায়ী। মা ফাতেমা বেগম গৃহিনী। তবে ছেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হলেও  বাবা-মা’র এতে কোন উৎসাহ নেই। এমনকি ছেলের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার আগ পর্যন্তও তারা বিষয়টি জানতেন না। 

তবে, জনগণের সেবা করার প্রত্যায় নিয়ে নির্বাচনে এসেছেন বলে জানালেন ইসমাইল। তরুণদের নিয়েই একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলার আশা নিয়ে প্রার্থী হওয়ার কথা বললেন এই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। এদিকে হলফনামায় উল্লেখিত তথ্যে আরো জানা গেছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে ইলেক্ট্রট্রিক এন্ড ইলেক্ট্রনিকস বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। তার নগদ টাকা আছে ৪ লাখ ১৪ হাজার, স্বর্ণ আছে ৫ ভরি। উপহার পাওয়া স্বর্ণের মূল্য জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। জন্ম ১৯৯১ সালে ৭ জুলাই।

জানা গেছে, ক্রেডিট কার্ড বকেয়া থাকার অভিযোগে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা আপিলে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন ইসমাইল। তবে, দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে, হলফনামা তৈরি, মনোনয়নপত্র দাখিল এবং আপিল আবেদন করে শুনানিসহ সব কাজ একাই করছেন ইসমাইল হোসেন। এমনকি আপিল করতেও কোন আইনজীবি ধরেননি ইসমাইল। 

কেন পরিবারকে জানায় নি এমন প্রশ্নে ইসমাইল বলেন, শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হিসাবে টিকি কিনা, নিশ্চত না হয়ে জানাই নি। এখন সবাই জানে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করেন ইসমাইল। তার বয়স সাতাশ হওয়ায় সবচেয়ে কমবয়সী পুরুষ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনএফ’র মনোনিত এই প্রার্থী। এছাড়া তিনি জানান, আপিলের
সময় নির্বাচন কমিশনার বলেছে আমিই সম্ভবত দেশে সর্বকনিষ্ট পুরুষ প্রার্থী। শুক্রবার থেকে তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণায় নামবেন বলেও জানান এই তরুণ। 

ইসমাইলের বাবা-মা’র সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম তার গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামে। বাবা বাড়িতে ছিলেন না। দেখা হয় তার মা ফাতেমা বেগমের সাথে। মা জানান আমার চার ছেলে মেয়ে। ইসমাইল সবার বড়। সে অনেক আগে আমাদের জানিয়েছিল নির্বাচনের কথা কিন্তু তার বাবা অনেক টাকা লাগবে বলে নিষেধ করেছিল। এখন সে হঠাৎ প্রার্থী হয়েছে তা আমরা জানতাম না। তবে ছেলেকে অনেক দোয়া করলেন তার মা ফাতেমা বেগম। 

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: