২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি, এরপর শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৪০ পিএম

বঙ্গোপসাগর উত্তাল ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের প্রভাবে। ভারতের আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া এ ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে এসে আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এর প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশে আঘাত আনার কোনো আশঙ্কা নাই। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আমরা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছি। এছাড়া ছোট ছোট মাছ ধরার টলার, নৌকাগুলোকে সমুদ্রে যেতে বারণ করেছি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আঁকাশ মেঘলা থাকবে, মাঝে মাঝে কোথাও হালকা বৃষ্টিও হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এরপর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরপর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

রোববার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: