বাকৃবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:২৪ পিএম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এদিকে নির্বাচন স্থগিত করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সমর্থিত নীল দল।

সংস্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ বছর ধরে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে মূল দুই বিপক্ষ দল হিসেবে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ এবং বিএনপি ও জাময়াপন্থী সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’ অংশগ্রহণ করছে। গত ২০১৮ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা সকল পদে নিরুঙ্কুশ জয় পায়। এদিকে আগামী ১৬ জানুয়ারি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তারিখ ধার্য্য করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি।

কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে সোনালী দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি কোন লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ‘সোনালী দল’। নির্বাচন স্থগিত করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সমর্থিত নীল দল।

এদিকে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। এবছর গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের পাশাপাশি ‘নীল দল’ নামে আলাদা আরও একটি প্যানেল করে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি একাংশ।

নির্বাচন স্থগিত করায় শুক্রবার সকালে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নীল দল। সর্বশেষ ২০০৫ সালে আলাদা প্যানেল করে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল নীল দল।নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ.এস. মাহফুজুল বারি বলেন, আমরা সকল দলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্যই নির্বাচন স্থগিত করেছি।

নিজেদের সত্যিকারের আওয়ামী লীগ দাবি করে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন,‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থি, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় লাভ করেছে। বর্তমানে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এখন সম্পূর্ণ ভাবে কমিনিস্টদের দখলে চলে গেছে। অন্যদিকে নীল দল শুধুমাত্র আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি সংগঠন।’

এদিকে সোনালী দলের নির্বাচন বর্জনের পরে দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ নীল দল আলাদা প্যানেল করায় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ঠিক কি কারণে নীল দলের আবির্ভাব হয়েছে আমার জানা নাই। তবে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামীপন্থি এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: