দীর্ঘদিন পর আলোচনায় সেই রাম রহিম

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

সাংবাদিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল সেই ধর্ষক ‘বাবা’ রাম রহিমকে। তার সঙ্গে আরও তিনজনকে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছে পাঁচকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ১৭ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা করা হবে।

স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ গুরুমিত রাম রহিম ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন কারাগারে। এবার তার বিরুদ্ধে ২০০২ সালে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করল হরিয়ানার বিশেষ সিবিআই আদালত। রাম রহিমের অন্য তিন সঙ্গী হলেন কুলদীপ সিংহ, নির্মল সিংহ এবং কৃষাণ লাল।

২০০২ সালের মে মাসে রাম চন্দের ছত্রপতি তাঁর খবরের কাগডে ‘পুরা সাচা’ বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সে প্রতিবেদনের বিষয় ছিল শিরসার জেরা সাচা সৌদায় সাধ্বীদের ওপর চলা যৌন শোষণ নিয়ে এক অজ্ঞাতনামা সাধ্বীর অভিযোগ। এ ঘটনার পর, ওই বছরেরই অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে কুলদীপ সিং এবং নির্মল সিং রাম চন্দেরের ওপর গুলি চালায়। ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল কৃষণ লালের .৩২ বোরের লাইসেন্সড রিভলভার।

ছত্রপতিকে প্রথমে শিরসার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাঁকে রোহতকে পিজিআইএমএস-এ পাঠানো হয়। কুলদীপকে সেদিনই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। নির্মল সিংকে গ্রেফতার করা হয় ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর। ডেরা সাচ্চা সৌদার একটি ওয়াকি টকিএবং কৃষণ লালের .৩২ বোরের রিভলভার পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে।

২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর হরিয়ানা পুলিশ এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে, কিন্তু সেই চার্জশিটে ডেরা প্রধানের নাম ছিল না। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে রাম চন্দের ছত্রপতির ছেলে অংশুল ছত্রপতি পাঞ্জাব হরিয়ানা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ২০০৩ সালের ১০ নভেম্বর সিবিআই-কে এই মামলা হস্তান্তরিত করা হয়।

সিবিআইয়েরর চার্জশিটে সব অভিযুক্তদের নাম নথিবদ্ধ করা হয়।   তদন্তকারী সংস্থা তাদের চার্জশিটে জানায়, বাবা গুরমিত সিং, কৃষণ লাল, কুলদীপ সিং এবং নির্মল- সকলের বিরুদ্ধেই খুনের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয়েছে। গুলির আঘাতেই মারা যান ওই সাংবাদিক। চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

১৫ বছর আগে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ করেছিলেন রাম রহিম, এই অভিযোগে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গত বছর ২৫ আগস্ট গুরমিত রাম রহিম সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে। ওই রায়ের পর গুরমিতের শিষ্যদের তাণ্ডবে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। নষ্ট হয় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। এরপর রোহতক জেলে বসে আদালতের বিশেষ সেশন। সেখানে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয় গুরমিতের।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: