মধ্যরাতে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ৬ জন মিলে গণধর্ষণ!

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০১ এএম

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গুলগাঁও গ্রামে কাজ দেয়ার কথা বলে স্বামী পরিত্যক্তা হতদরিদ্র পরিবারের এক সন্তানের জননী এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভূক্তভোগী নারীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন তার খালু।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গুলগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, মিরাজ মিয়া, শাহ আলম, দিদার হোসেন লক্ষ্মীপুর গ্রামের মজনু মিয়া ও পলাশ ইউনিয়নের নতুন গুলগাঁও গ্রামের আকবর আলী।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননীকে ঢাকায় কাজ দেয়ার কথা বলে একটি চক্র গত ১৬ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় ওই নারীকে। একপর্যায়ে উপজেলার গুলগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকার দীগলবাঁক ও গুলগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন হাওরে নিয়ে মধ্যরাতে ওই নারীকে ৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন নির্যাতিতা নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন দাস তালুকদার জানান, আদালত বাদীর লিখিত পিটিশনটি আমলে নিয়েছেন। এ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই পবিত্র কুমার সিংহ জানান, আদালতের কাগজপত্র এখনও থানায় আসেনি। আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: