কিশোরীর মাথায় উকুনের বাসা!
মহারাষ্ট্রের প্রচলিত বিশ্বাস, ‘জটা’ ভগবানের দান। আর এ বিশ্বাসের ভুক্তভোগী হয়ে এক কিশোরী সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিন বছর জটা না কাটায় ওই কিশোরীর মাথায় উকুন বাসা বেঁধেছে। ওই কিশোরী পুণের রাজগড়ের কাছে গবর গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হর্ষদা রঞ্জন।
একদিন ওই কিশোরী হঠাৎই দেখতে পান তার মাথার উপরের দিকে একটি ‘জটা’। তার পর থেকে গত প্রায় তিন বছর ধরে আর সেই ‘জটা’ অথবা মাথার চুল কোনওটাই কাটা হয়নি।
হর্ষদার বাবা-মা জানিয়েছেন, স্থানীয় এক গুণিন জট কাটতে নিষেধ করেছিল। তাঁদেরও বিশ্বাস ছিল, ওই জটা ভগবানের দান। তাই কাটা হয়নি।
কিন্তু মাঝে মধ্যেই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ত। ওই গুনিনকে জানালে গুনিন বলেন, স্কুলে ঋতুমতী অবস্থায় মেয়েরা হর্ষদাকে ছুঁয়ে দেওয়াতেই এভাবে রোগভোগ হয় তার।
সবশেষ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
নরেন্দ্র দাভোলকর প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতি (এএনএস) এর সদস্য নন্দিনী যাদব প্রথমে হর্ষদা রঞ্জনের খবর পান। প্রথম ফোনে কিশোরীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
কিন্তু কিশোরীর মা-বাবা কিশোরীর চুল কাটতে রাজি হননি। এর পর গ্রামের কাউকে না জানিয়েই মঙ্গলবার বাড়িতে হানা দেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত হর্ষদার বাবা-মাকে রাজি করান এবং কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে হর্ষদার চুলও কাটা হয়।
নন্দিনীদেবী বলেন, ‘মহারাষ্ট্র জুড়েই জটা সম্পর্কে নানা অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার রয়েছে। এই মেয়েটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মাথা থেকে উকুন খসে খসে পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে যে উদ্ধার করতে পেরেছি, এবং ওর বাবা-মাকে বোঝাতে পেরেছি, এটাই ভাল লাগছে।’
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: