আমি তো নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারি না?
বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়েক জন ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ ও জনগণকে সচেতন করতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত তাদের মধ্যে প্রথম কাতারেই আছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিতা অভিানেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এদিকে সারা দেশে এবং সংসদে প্রশ্ন উঠেছে বদিকে দিয়ে ইয়াবা এবং শাহজাহান খানকে দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ! আর উলো বুনে মুক্ত ছড়ানো একই কথা। যারা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় লিপ্ত হয় তাদের দ্বারা আর যাই হোক অন্যায় কাজের প্রতিরোধ সম্ভব নয় বলে জানান বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য শাহজাহানকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি করায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলছে।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুলতানা কামাল বলেন, সড়ক বিশৃঙ্খলারোধে সবচেয়ে বড় বাধাকে সড়ক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যিনি সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে আছেন, এই দায়িত্বটা ছিল তারই। নিজের দায়িত্ব এমন একজনকে দেয়া হলো, যার ব্যাপারে অভিজ্ঞতাপ্রসূত ধারণা সবার রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে, সত্যিকার অর্থে যারা ইচ্ছুক তাদেরকেই দায়িত্বটা দিলে ভাল হতো।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করতে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, আমি তো নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারি না? সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এ মন্তব্য করেন।
ওই টকশোর উপস্থাপকের এক প্রশ্নে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শাহজাহান খান এমপির নাম প্রস্তাব করেন সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী, এরপর আর বিকল্প কারো নাম প্রস্তাব করেনি। সেখানে আমি আমার নাম কিভাবে প্রস্তাব করি?
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা তো রাতারাতি বন্ধ করা যাবে না। তবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের সচেতন হতে হবে। এই সত্যটি এক বাক্যে পুলিশের আইজি বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার বহু কারণ রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে চালকের অদক্ষত। এ বিষয়ে এই কমিটির বেশি করে কাজ করতে হবে। তবেই অনেকাংশে সম্ভব দুর্ঘটানা নিয়ন্ত্রন করা।
নিরাপদা সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ২০১২ সাল থেকে বেসরকারিভাবে পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ করি এবং বছর শেষে একটি পরিসংখ্যান দেই। এবারে আমাদের পরিসংখ্যানের মধ্যে বুয়েটের একজন প্রফেসরকে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে এসেছিল কিন্তু ১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ১৭, ১৮ এর শুধু জানুয়ারি মাসের হিসাবটা দেখলে বোঝা যায়। ১৯ সালের জানুয়ারি মাসের দুর্ঘটনার মাত্রা বহু গুন বেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, দেশে চালকের স্বল্পতা রয়েছে, একথা অস্বীকর করার কোন সুযোগ নেই। যে হারে গাড়ি রাস্তায় নামছে সেই হারে দক্ষ চালক নেই। এই মুহূর্তে ১৮ লাখ চালকের ঘাটতি রয়েছে। গাড়ি বাড়তেই পারে, যেহেতু মানুষের আয় বেড়েছে তাই বলে কি দুর্ঘটনা বাড়বে? নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হবে। স্কুলের পাঠ্যক্রমের মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সন্তানদেরকে কি শিখাতে হবে সেটার প্রস্তাবনাও আমরা দিয়েছি।
বিডি২৪লাইভ/এএসবি/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: