ফেসবুকে যেভাবে ৯০ লাখ টাকা হারালেন নারী
কিছুদিন আগে স্বামী গত হয়েছেন এক নারীর। এমতাবস্তায় ফেসবুকে ওই নারীর পরিচয় হয় এক ব্যক্তির সঙ্গে। লাইক, কমেন্ট ও চ্যাটিংয়ের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মণীশ কুমার নামের এক ব্যক্তির সাথে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন বিশাখাদেবী নামের ওই নারী। ২০১৮ সালের শেষ দিকে মণীশ কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মণীশ কুমার নিজেকে ইংল্যাণ্ডের বাসিন্দা ও তিনি একজন পাইলট বলে পরিচয় দেন। এভাবে ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াসটআপে আলাপচারিতা বাড়তে থাকে।
একদিন হঠাতই মণীশ জানায়, তার জন্য প্রসাধনী সামগ্রীর একটি পার্সেল উপহার পাঠানো হয়েছে। যা ছাড়িয়ে আনতে শুল্ক হিসেবে নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা জমা করতে হবে।
শুল্ক দফতরকে ফাঁকি দিতেই এ কাজটি করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু শুল্ক কর্মকর্তার বিষয়টি জেনে গেছে। যেকারণে পার্সেল ছাড়াতে এখন স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে ৯০ লাখ টাকা।
আর লোভে পড়ে বিশাখাও মণীষকে বিশ্বাস করে মোট ৯০ লাখ টাকা জমা দেন। এর পরে পার্সেল আর আসেনি। তিনি বুঝতে পারেন এতোদিন বড়রকমের প্রতারকের সঙ্গে গল্প করে যাচ্ছিলেন।
সবশেষ এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী। জানান গত ৮ মার্চ মণীশের কথামতো নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরেই মণীষ জানান, পার্সেলটি প্রসাধনী সামগ্রীর নয়, ৭০ হাজার ডলার মূল্যের গয়না পাঠিয়েছেন তিনি।
কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, মণীশের কথা বিশ্বাস করে ১১টি আলাদা আলাদা ব্যাঙ্কে ৮৯ লাখ জমা করেন ওই নারী। প্রতারক মণীষকে খুজেঁ বের করার চেষ্টা চলছে।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: