চরম দুঃসময় মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪২ এএম

চরম দুঃসময় ও এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল। সৌদি আরবে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ‌্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ডক্টর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর কার্যালয় প্রধান ডক্টর ফরিদউদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন, শ্রম কাউন্সিলর মেহেদী হাসান ও আসাদুজ্জামান।

আলোচনায় নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। সেদিনের সরকারের শপথ নেয়া জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এইচ, এম কামরুজ্জামানকে জাতি আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, দেশের জন্য তাদের অবিস্মরণীয় অবদান থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে রিয়াদ আওয়ামী পরিবারের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ বলেন, মুজিবনগর সরকার শুধু যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যকে রক্ষা করেছে তা নয়, সেই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতার আইনগত ও নৈতিক বৈধতাও নিশ্চিত করেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের ওপর যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, মুজিবনগর সরকার তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত ও বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি তাদের সমর্থন আদায়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদের সম্ভাব্য অভিযোগ থেকে সুরক্ষা দিয়েছিল।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতুলনীয় ও অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং তার সেই সব সুযোগ্য সতীর্থ যারা ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ করেছিলেন, তারা বাঙালি জাতির জন্য চিরকাল দেশপ্রেম, সাহস, প্রজ্ঞা এবং গণতান্ত্রিক চেতনার উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।

সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের জন্য এবং দেশ ও জাতির সার্বিক সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: