ফিল্মি স্টাইলে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:১৮ পিএম

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোরকান্দি গ্রাম থেকে নবম শ্রেণির একজন ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। একই ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে মো. শাকিল (২২) এর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের সন্ত্রাসীদল চাপাতি, ছুরি, হকিস্টিক নিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভোমরকান্দি গ্রামের প্রবাসী বশিরুল ইসলাম এর বাড়িতে যায়। তারা এ সময় জোর পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে প্রবাসী বশিরুল এর ছোট মেয়ে ভোমরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার তামান্নাকে গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে।

এ সময় সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিলে তামান্নার মা মুর্শিদা বেগম, খালা রশিদা বেগম ও খালু আছমত আলীকে মারধর করে আহত করে তামান্নাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তামান্না ভোমরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। তার শ্রেণি রোল নং-১৬।

এদিকে ঘটনার পর শনিবার রাতে পুলিশের ইমার্জেন্সি সহায়তা নাম্বার ৯৯৯ এ কল করে চান্দিনা থানা পুলিশের সহায়তা নেয়। পরে রাত ১টায় চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং গ্রাম থেকে এলাকাবাসী ফাহিমা আক্তার তামান্নাকে উদ্ধার করে পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে ওই ঘটনায় সোমবার (২২ এপ্রিল) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারে নি চান্দিনা থানা পুলিশ। এঘটনায় কোন মামলাও দায়ের করা হয় নি।

তামান্নার মা মুর্শিদা বেগম জানান, ‘আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় পথিমধ্যে তাকে বিরক্ত করতো একই ইউনিয়নের পানিপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে মো. শাকিল। শনিবার সন্ধ্যায় মো. শাকিল এর নেতৃত্বে মনির হোসেন চেয়ারম্যানের ছেলে তুষার, মো. আনিছ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, মো. রফিকুল ইসলাম এর ছেলে নোমানসহ ৪০-৫০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল আমাদের বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে আমার ছোট মেয়ে ফাহিমা আক্তার তামান্নাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।’

এ ব্যাপারে ভোমরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ্ সেলিম প্রধান জানান, ‘একজন ছাত্রীকে এভাবে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. আবুল ফয়সাল জানান, ‘আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনা শুনেছি। ঘটনার রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছি। সোমবার সকালে ভিকটিমের রাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জাকারিয়া বলেন, ‘আমাকে বিদ্যালয় বা মেয়েটির পরিবার থেকে কিছুই জানায় নি। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: