প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু ১০ মে

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৯ পিএম

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১০ মে। এবার ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। ২০ হাজার পর্যন্ত প্রার্থী আছে এ রকম ৭টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের পরীক্ষা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন এবং ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১০ মে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। যেসব জেলায় লিখিত পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে আগেই মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থী বেশি থাকায় ৫ ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। এরপর চলতি বছরের গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮ লিখিত পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও এসএসসি পরীক্ষার জন্য পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হওয়ায় ওই সময়ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, এবার বুয়েটের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে।

পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। এবার পরীক্ষা নেয়া হবে পৌর এলাকার মধ্যে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একইসঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।

অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ প্রার্থী।

জানা গেছে, এবার সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। এ জেলায় মোট ৯৮ হাজার ৯৬৯টি আবেদন পড়েছে। দ্বিতীয় ময়মনসিংহ জেলায় ৮৮ হাজার ২১৮টি, এরপর কুমিল্লায় ৮৪ হাজার ৭২৮টি, দিনাজপুরে ৬২ হাজার ৯৭১টি, রংপুরে ৫৯ হাজার ৭১টি, জয়পুরহাটে ১৮ হাজার ১৭৮টি, বগুড়ায় ৬৪ হাজার ৭২৭টি, জামালপুর ৫০ হাজার ৫০টি, যশোরে ৫৫ হাজার ৯৩২টি, টাঙ্গাইলে ৬১ হাজার ৬৩০টি, নওগাঁয় ৪৯ হাজার ৮৬৩টি, আবেদন জমা পড়েছে।

ঢাকায় ৬৪ হাজার ৫৫৮, বরিশালে ৬১ হাজার ৮৮৩টি, রাজশাহীতে ৫৭ হাজার ৩৮২টি, সিলেট জেলায় ৫০ হাজার ৩৭০টি আবেদন জমা পড়েছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জে জমা পড়েছে ৫৮ হাজার ১৪৯টি, পাবনায় ৫১ হাজার ২৩১, কুষ্টিয়ায় ৩২ হাজার ৬০৯টি, চাঁপাই নবাবগঞ্জে ৩০ হাজার ২৭১টি, নাটোরে ৩৫ হাজার ২৫৭টি, গাজীপুরে ৩৫ হাজার ৫১৭টি, মেহেরপুরে ১০ হাজার ৮৮৮টি, চুয়াডাঙ্গায় ১৮ হাজার ৬৬১টি, ঝিনাইদহে ৩৭ হাজার ৬১৭টি, মাগুরায় ২১ হাজার ৯৬২টি, নড়াইলে ১৫ হাজার ৬১৪টি, সাতক্ষীরায় ৪৫ হাজার ৬১টি, খুলনায় ৪৭ হাজার ১৮৮টি, শেরপুরে ২৫ হাজার ৪৬৬টি, নেত্রকোনায় ৪২ হাজার ৭৫৩টি, কিশোরগঞ্জে ৪৭ হাজার ৮৮৫টি, বাগেরহাটে ৩২ হাজার ৯৭টি।

রাজবাড়ীতে জমা পড়েছে ২১ হাজার ৯০৬টি, নরসিংদীতে ৩৮ হাজার ১৪৩টি, মানিকগঞ্জে ২৫ হাজার ৭১১টি, নারায়ণগঞ্জে ২৭ হাজার ১২৭টি, মুন্সীগঞ্জে ১৮ হাজার ৭৫৯টি,  ফরিদপুরে ৩৩ হাজার ৬৪৩টি, মাদারীপুরে ২৪ হাজার ৮০৭টি, শরীয়তপুরে ১৮ হাজার ৭৮৬টি, গোপালগঞ্জে ২৯ হাজার ২১৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ হাজার ৪০টি, চাঁদপুরে ৪৬ হাজার ৯১টি, লক্ষ্মীপুরে ২৩ হাজার ৩৩০টি।

নোয়াখালীতে ৪০ হাজার ৭৩৯টি, ফেনীতে ২১ হাজার ৫০১টি, কক্সবাজারে ২৬ হাজার ৭৫০টি, পিরোজপুরে ২৯ হাজার ২৭৮টি, ঝালকাঠিতে ১৯ হাজার ১৩৮টি, বরগুনায় ২১ হাজার ৭১৭টি, পটুয়াখালীতে ৪০ হাজার ৮০৭টি, ভোলায় ২৫ হাজার ১৪৫টি, সুনামগঞ্জে ৩৫ হাজার ৫১২টি, হবিগঞ্জে ৩৩ হাজার ৪৭৫টি, মৌলভীবাজারে ৩২ হাজার ১০৬টি, নীলফামারীতে ৩৯ হাজার ৭৫২টি, লালমনিরহাটে ২৬ হাজার ১২২টি, কুড়িগ্রামে ৪৩ হাজার ২৯৪টি এবং গাইবান্ধায় ৫৫ হাজার ৫১৭টি, পঞ্চগড়ে ২১ হাজার ৬২৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩১ হাজার ৭৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: