‘খুবই কষ্ট লাগে, চোখ হারালেও ৭ কলেজের সমস্যা সমাধান হয়নি’

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

‘পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আমিও রাস্তায় নেমেছিলাম। রক্ত ঝরেছে, হারিয়েছি চোখ। এতকিছুর পরেও সাত কলেজের সমস্যা এখনও সমাধান হয়নি। খুবই কষ্ট লাগে, ব্যথিত হই।’

এভাবেই বিডি২৪লাইভের প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলে দৃষ্টিশক্তি হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান।

২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ। এরপর স্থবির হয়ে পড়ে সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। সেশনজটসহ সৃষ্টি হয় নানামুখী সমস্যার। এসব সমস্যা সমাধানের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলনে নামে অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এরমধ্যে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ফল প্রকাশ ও পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলে দৃষ্টিশক্তি হারান সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনার পরেও সাত কলেজের সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৫ দফা দাবিতে নতুন করে রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এখনও সেই আন্দোলন চলছে।

এ প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ খবর শুনে খুবই ব্যথিত হয়েছি। আমরাও দীর্ঘদিন ধরে সেশনজটে ছিলাম। এখনও যদি সেশনজটসহ আগের অবস্থাই থাকে তাহলে তো সেটা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, সাত কলেজে মেধাবিরাই তো পড়তে আসে। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ভালো কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না তারাই এসব কলেজে ভর্তি হয়। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো এত আসন নেই। স্বভাবতই এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজের পড়ালেখা নিয়ে সিরিয়াস থাকে কিন্তু সেশনজটের কারণে তাদের জীবন থেকে যদি এত সময় চলে যায় তাহলে সেটা তো খুবই হতাশাজনক। আর সেই হতাশা থেকেই আমিও রাস্তায় নেমেছিলাম।

এসময় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাত কলেজে লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষাজীবন শেষ করে তাদেরও স্বপ্ন থাকে ভাল একটা চাকরি করার। তাই এভাবে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আমি আশা করব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এদেশের শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে প্রসারিত করবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: