সেদিন বুঝেছি ১০ টাকা না থাকার কষ্ট
একজন শিল্পী হিসেবে নয়, একজন স্ত্রী হিসেবে আমি তার (প্রাক্তন স্বামী) সাথে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দিনের পর দিন তার অত্যাচার সহ্য করা যাচ্ছিল না। তারপরও আমি চুপ করেই ছিলাম। অনেক মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক এতকিছু জেনেও চুপ ছিলাম। কিন্তু একটা সময় গিয়ে আর চুপ থাকতে পারিনি। আমার বিয়ের পরও যখন অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে জানতে পারি তখনই আমি প্রতিবাদ করি। এরপর থেকেই আমার উপর শুরু হয় অমানসিক নির্যাতন। গত বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বলেন পপ গায়িকা মিলা।
রাজধানীর বেইলি রোডস্থ একটি রেস্তোরাঁতে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিলার পাশে আমরা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন। যেখানে অংশ নেন মিল ও তার পরিবার। মূলত প্রাক্তন স্বামী পারভেজ সানজারি ও তার পরিবার কর্তৃক শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যই এই আয়োজন করেন মিলা। এতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন মিলা।
মিলা বলেন, যেদিন আমি চলে আসি তার বাড়ি থেকে তার আগের দিন আমাকে তারা আবারও ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি সেখান থেকে সোজা আমার বাবার বাসায় চলে যাই। আমার বাবাও তখন আমার উপর বিরক্ত হয়ে যায় যে মেয়েকে এত আদরে বড় করেছে সেই মেয়ে আজ এতটা অবহেলা আর অনাদরে রয়েছে! কয়েকটা দিনও স্বামীর সাথে থাকতে পারে না তার পরিবার ও সে আমাকে অত্যাচার করে বের করে দেয়।
আমি গিয়ে দেখি আমার বাবা আমার সব কাপর ছয়তালা থেকে নিছে ফেলে দিয়েছে। আমার কোন কাপড় রাখেনি। তখন কষ্টে আমাকে বলে এখন তুই আমার মেয়ে না এখন অন্যের স্ত্রী, সেটাই তোর আসল জায়গা। পরে রাত ১১টা কি ১২টা বেজে যায় আমি আবার শ্বশুর বাড়ি যাই। তখন সানজারিকে কল দিলে ধরবে না জানি কারণ সে আমার নাম্বারসহ সবকিছু ব্লক করে রেখেছে। তখন আমি আমার শাশুড়িকে কল দেই, তিনিও আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয় নি। আমি সারারাত বাইরে গাড়িতে ছিলাম, কিছুই খাই নি। পরদিন সকাল ৫টার দিকে সানজারি আর্মি গলফ ক্লাবে বের হয়ে যায়। পরে আমি সেখানে যাই। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার অপেক্ষায় বসে থাকি সে দেখা করতে আসে না। সেদিন অনেক গরম ছিল, আমি আর নিতে পারছিলাম না। আমি রাতে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার মানিব্যাগ আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেদিন আমার কাছে কোন টাকা ছিল না। যখন পিপাসায় মরে যাই অবস্থা তখন আমি গলফ ক্লাবের ওখানে বাথরুম থেকে পানি পান করি। সেদিন আমি বুঝেছি ১০ টাকা না থাকার কষ্টটা কি! পরে বিকালের দিকে আমার ছোট বোন দিশা আমাকে ফোন করে তখন আমি তাকে সব বলি। পরে সে বাবাকে জানায় ঘটনা টা। এ কথা শুনে আমার বাবা কষ্টে কান্না করে দিল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৭ সালের ১২ মে বিয়ে করেছিলেন মিলা ইসলাম ও পারভেজ সানজারি। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তাদের সংসারে ভাঙন ধরে।
বিডি২৪লাইভ/আইএন/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: