হয় স্ত্রীর মর্যাদা, না হয় বিষ!
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুলিশ কনস্টেবল মো. জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বিষের বোতল নিয়ে খাদিজা আক্তার আঁখি (২১) নামে এক যুবতী অনশন করছেন।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল উপজেলার ডৌহাখলার পানাটি গ্রামে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে।
খাদিজা উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়ার মেয়ে। পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার পানাটি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।
পুলিশ কনস্টেবল মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা রেঞ্জের উত্তরা থানায় কর্মরত আছেন।
খাদিজা আক্তার আঁখি বলেন, মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে, লাশ হয়ে ফিরে যাব বাবার বাড়িতে। এ জন্য বিষের বোতল সঙ্গে নিয়ে এসেছি।
খাদিজা আক্তার আরও জানান, ৬ বছর আগে জাহাঙ্গীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে এফিডেভিট ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরে একটি ভাড়া বাসায় প্রায় ৩ মাস একসঙ্গে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীর তার পরিবারের সদস্যদের ম্যানেজ করে ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
কিছুদিন পর খাদিজাকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর। ২য় বিয়ের ঘটনা জানার পর জাহাঙ্গীরের নিকট স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে ঘরে তুলে নেয়ার আকুতি জানায় খাদিজা।
এ সময় জাহাঙ্গীর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাকে নানা হুমকি প্রদান করেন।
এ দিকে স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য খাদিজা আক্তার ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
খাদিজা আক্তার আঁখিকে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আমার পরিবারের সম্মতিক্রমে শেরপুরের নকলা এলাকায় আশামনি নামে একজনকে বিয়ে করেছি। স্ত্রী আশামনিকে নিয়ে উত্তরায় থাকেন বলেও জানান তিনি।
জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, খাদিজার সাথে তার ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজন আগে জানত না। মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে অবস্থান করার পর ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি মেয়েটি তার বাবার বাড়ি চলে গেছে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: