জেনে নিন আজকের ইফতার-সেহরির সময় ও দোয়া

শুরু হয়েছে মাহে রমজান। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সিয়াম বা রোজার অন্যতম শর্ত হলো যথা সময়ে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করা। নির্দিষ্ট সময়ের পর সেহরির খাবার খেলে রোজা হবে না। আবার ইফতারের সময়ের আগে খাবার গ্রহণ করলেও রোজা হবে না। তাই যথা সময়ের মধ্যেই সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতে হবে।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- তোমরা পানাহার করো, যে পর্যন্ত না তোমাদের কাছে ভোরের কালো রেখা থেকে সাদা রেখা প্রকাশ পায়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম বা রোজা পালন করো। (সুরা বাকারা: ১৮৭)
বুখারি ও মুসলিম হাদিসে হজরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘সূর্যাস্তের পর যখন পূর্বদিক থেকে অন্ধকার হয়ে আসে এবং দিনের আলো পশ্চিম দিক থেকে সম্পূর্ণ চলে যায় তখন রোজাদারদের জন্য ইফতারের সময়। তাই কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিভিন্ন দেশে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় বিবেচনা করে সেহরি ও ইফতারের স্থানীয় সময় ঠিক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ইফতারের সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৪ মিনিটে। আজ সেহরির শেষ সময় ভোর ৩টা বেজে ৫২ মিনিটে।
সেহরির দোয়া:
نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রামাদানাল মুবারাকি, ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহ ফাতাকাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম।
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমজান মাসের ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:
نويت ان اصوم اليوم من شهر رمضان المبارك فرضا لك يالله فتقبل منى انك انت السميع العليم.
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমাল ইয়াওমা মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফা তাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
ইফতারের দোয়া:
اللهم لك صمت و على رزقك افطرت.
বাংলায় উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন
বাংলায় অর্থ: হে আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।
হাদিস শরিফে এসেছে, রমজানের প্রথম দশক হলো রহমতের, মধ্য দশক হলো মাগফিরাতের, শেষ দশক হলো নাজাতের।’ সাধারণত বলা হয়ে থাকে প্রথম দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বর্ষণ করতে থাকবেন। দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন। তৃতীয় দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন।
হযরত সাহাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (স.) বলেন, জান্নাতের মধ্যে রাইয়ান নামক এক দরজা আছে, এ দরজা দিয়ে কেবলমাত্র কেয়ামতের দিন রোজাদার লোকেরা প্রবেশ করতে পারবেন। ঘোষণা দেয়া হবে রোজাদার লোকেরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে, তাদের প্রবেশের পরপরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত মুসলিম শরীফের এক হাদিসে বলা হয়েছে, যারা রমজানের চাঁদের প্রথম তারিখ থেকে শেষদিন পর্যন্ত রোজা রেখেছে তারা সে দিনের মতই নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তাদের মাতা তাদেরকে নিষ্পাপরূপে জন্ম দিয়েছিলেন। অর্থাৎ মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয় রমজানের ৩০ দিন রোজা পালন করলে সে তেমন নিষ্কলুষ হয়ে যাবে।
বিডি২৪লাইভ/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: