জেনে নিন মানুষ কেন মিথ্যা কথা বলে

মানুষ স্বভাবত সত্য কথা বলার কথা থাকলেও অনেকেই বেশিরভাগ সময় মিথ্যা কথা বলে । কেউ কেউ নেহাতই জীবন রক্ষার্থে সত্য গোপন করে বা মিথ্যে বলে । কেউ কেউ আবার বিশেষ কোন স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মিথ্যে বলে ।
আবার কেউ কেউ অনবরত মিথ্যে বলে যায় মিথ্যে বলার আনন্দে । মানুষ কেন মিথ্যাচার করে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে । সা¤প্রতিক গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে ।

মিথ্যেবাদী ও প্রতারকদের ওপর গবেষণা চালিয়ে স্নায়ুবিশারদরা দেখেছেন, তাদের মস্কিষ্কের উচ্চতর কেন্দ্রগুলো আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো নয় । অবিরাম মিথ্যে বলা লোকদের উচ্চতর মস্তিষ্ক কেন্দ্রগুলোতে কম পরিমাণে ধূসর বস্তু ( গ্রে ম্যাটার) থাকে এবং অধিক পরিমাণ শ্বেতবস্তু (হোয়াইট ম্যাটার) থাকে । তাদের প্রিফ্রন্টাল এলাকাটি স্বভাবতই অস্বাভাবিক ধরনের । ধূসর বস্তুর কোষগুলো আমাদের চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত । আর শ্বেতবস্তুর কোষগুলো সব কোষকে সংযুক্ত রাখতে সহায়তা করে । আর তাদের কথা বলার দক্ষতা খুব বেশি ।

গবেষকদের মতে, মিথ্যেবাদীদের মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল এলাকার কটেক্সে অন্যদের চেয়ে ১৪.২% কম ধূসর বস্তু থাকে এবং ২২% বেশি শ্বেতবস্তু থাকে । তবে তার মনে তাদের মিথ্যে বলার উপাদান অনেক বেশি থাকে । আর তারা নৈতিকতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে । কেন না, মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল এলাকাটি মানুষের নৈতিক বোধ ও আদর্শ ভাবনা গড়ে দেয় ।

নৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে তারা প্রথমেই যে দিকে ধাবিত হয় তা হলো মিথ্যে বলার । গবেষকদের ধারণা, তাদের এ আবিষ্কারটি আইন প্রয়োগের ব্যাপারে বিচারালয়কে সহায়তা দিতে পারবে ।