অভিজিৎ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী যা বলছে...

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০৪:২৩ এএম

ঢাকা: লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সেলিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য নিয়েছে। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পানি বিক্রি করেন।

সেলিমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় হঠাৎ তিনি টিএসসি এলাকায় চিৎকার শুনতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। আরেক নারী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে অন্যের সাহায্য চাইছেন। কোট পরা আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী একজন ও সাদা শার্ট পরা আরেকজন দ্রুত দৌড়ে দু'দিকে পালাচ্ছে। আশপাশে অনেক লোক ও কাছেই পুলিশ সদস্যরা থাকলেও কেউ ভুক্তভোগীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। হামলাকারীরা এক থেকে দুই মিনিট সময় নিয়েছে। অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পালিয়ে যায় তারা।

এসময় কাছেই দাঁড়ানো সেলিম চিৎকার করে উঠলে হামলাকারীরা তাড়া করে এবং প্রাণভয়ে সেলিম সেখান থেকে দৌড়ে সরে যায় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে চায়ের দোকান রয়েছে মালেকের। তিনি বলেন, 'হঠাৎ চেচামেচি শুনে ডানে তাকাই। দেখি দৌড়াদৌড়ি করছে লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জন পড়ে থাকলেও প্রথমে কেউ এগিয়ে যায়নি। পুলিশ ছাড়া মানুষও আশপাশ এলাকায় গমগম করছিল। সবার সামনে এমন ঘটনায় কেউ গেল না, এটা বিশ্বাস হতে চায় না। এক নারী দৃশ্যটি দেখে অচেতন হয়ে পড়েন।

বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী ডা. রাফিদা আহমেদ বন্যাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। বন্যা এখন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানান।

বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এ দম্পতি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন। কয়েক দিনের মধ্যে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল। অভিজিৎ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অধ্যাপক অজয় রায়ের বড় ছেলে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: