ধর্মগ্রন্থ গীতার দোহাই দিয়ে ১২ বছর ধরে ধর্ষণ!

প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০১৫, ০৪:৪১ পিএম

১ হিন্দু রমনীকে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতার ধোহাই দিয়ে ১২ বছর ধরে ধর্ষণ করেছে জেলার তালতলীর বেহালা এলাকার কাঠ মিস্ত্রী মনেন্দ্র সিকদার। এছাড়া ওই রমনীর ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকাসহ মালামাল নিয়ে বেহালা গ্রামে আগের স্ত্রীর কাছে ফিরে এসেছে মনেন্দ্র।

স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর আগে একই গ্রামের শাম অধিকারীর বাড়িতে ঘর তৈরি করতে গিয়ে কাঠ মিস্ত্রী মনেন্দ্র শাম অধিকারিকে বাবা ডাকে। এ সম্পর্কের সুযোগে শাম অধিকারির স্ত্রী উষারাণীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এক পর্যায়ে শাম অধিকারির স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উষারাণীকে সাথে করে মনেদ্র মিস্ত্রী পাড়ি জমান ভারতে।

পরে উষারাণী ও তার প্রতারিত স্বামী বাংলাদেশে চলে আসেন। তারা আশ্রয় নেন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায়। সেখানে মনেন্দ্র স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানান, আমরা ২ জন স্বামী-স্ত্রী। আমরা সহায় সম্বল ভূমিহীন আমাদের আত্মীয় স্বজন কেউ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান তাদেরকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা শুরু করেন।

এরপর উষারাণী মনেন্দ্র মিস্ত্রীকে বিয়ের কথা বললে মনেন্দ্র মিস্ত্রী এড়িয়ে চলতেন এবং বলতেন আমাদের ধর্মের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ গীতা নিয়ে আমরা ২ জনে শপথ করলেই বিয়ে হয়ে যাবে। আর কাউকে লাগবেনা। পরে তারা পূর্ণিমা রাত্রে গীতা ধরে শপথ করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। পরে ভান্ডারিয়া বাজারে বাসায় বাসায় কাজ করে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় উষারাণী কিছু অর্থ জমান।

গত ১ সপ্তাহ আগে মনেন্দ্র মিস্ত্রী উষারাণীর জমানো নগত অর্থ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকাসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে তালতলীর বেহালা গ্রামের আগের স্ত্রীর কাছে ফিরে আসে মনেন্দ্র।

উষারাণী জানান, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। আমি আমার সন্তান ও স্বামীকে ত্যাগ করে মনেন্দ্রর প্রলোভনে পড়ে আমার জীবনের সকল অর্থ সম্পদ ব্যয় করেছি। মনেন্দ্র মিস্ত্রী আমার সাথে প্রতারণা করে আমাকে নিস্ব করে তার আগের স্ত্রীর কাছে পালিয়ে গিয়েছে। আমি এই প্রতারকের বিচার চাই।

এ বিষয়ে মনেন্দ্র মিস্ত্রীর বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তালতলী থানার ওসি মো. বাবুল আকতার জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম নির্যাতিত নারী অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#দ‌ি কা

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: