২১০০ সালের মধ্যেই মহাকাশ বসবাসের উপযোগী হবে

পৃথিবী উপচে পড়ছে মানুষ। যেন একটি তিল ধারনেরও ক্ষমতা নেই আর এই সবুজ গ্রহের। এ ক্ষেত্রে মানুষের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিৎ? মানুষের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে বসতি গড়ে তোলা।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কর্মকর্তা মহাকাশ বসতি বিশেষজ্ঞ আল গ্লোবাস মনে করেন, মানুষের পরবর্তী যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে মহাকাশে পৃথীবির কক্ষপথেই নিজেদের বসবাসের উপযোগী আবাসস্থল তৈরি করা!
বিশেষজ্ঞ গ্লোবাস দাবি করেন, ‘বড় ধরনের দুর্যোগ এড়াতে ২১০০ সালের মধ্যেই মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথেই বড় ধরনের ভাসমান আবাসস্থল গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
তিনি বিশ্বাস করেন, শিগগিরই পৃথিবীর কক্ষপথে শহর গড়ে উঠবে। আর লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে যেভাবে মানুষ বেড়াতে আসে, তেমনি পৃথিবী থেকে মহাকাশের ওই শহরগুলোতেও মানুষ বেড়াতে যাবে।
গ্লোবাসের মতে, ‘মানুষ যদি মহাকাশে বসতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমাদের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা ও আর্থিক ক্ষমতা রয়েছে। তাই কক্ষপথে ভাসমান শহর তৈরি না করার কোনো কারণ নেই। আগামী কয়েক শতকে যদি পারমাণবিক যুদ্ধের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, তবে মহাকাশে ভাসমান শহর গড়ে না তোলাটাই হবে বিস্ময়কর।’
তবে মহাকাশে যদি বসতি স্থাপন করা সম্ভব হয়, তাহলে সেখানকার ঘরবাড়ি দেখতে কেমন হবে? গবেষকরা বলছেন, একটি কেন্দ্রীয় সিলিন্ডারের চারপাশে ঘূর্ণায়মান বসতি তৈরি করা যাবে। এই ঘূর্ণায়মান অংশটি থেকেই কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ তৈরি হবে এবং এখানকার অধিবাসীরা পৃথিবীর মতোই স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়াতে পারবে।
গ্লোবাস মনে করেন, এ ধরনের পরিবেশে শিশু সুগঠিত মাংসপেশি নিয়ে বেড়ে উঠবে। মহাকাশে দীর্ঘকাল থাকলেও পরে তারা পৃথিবীতে ভ্রমণে এলে এখানকার মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারবে। তবে এই বসতির কেন্দ্রীয় কাঠামোর স্থানটিতে শূন্য মাধ্যাকর্ষণ থাকবে। এই বিশাল কাঠামোর বাইরের দিকে চাষাবাদ করা ও শক্তি উৎপাদনের ব্যবস্থা করাও সম্ভব হবে।
গ্লোবাসের এই ‘মহাকাশ শহর’-এর ধারণা আকর্ষণীয় শোনালেও বর্তমানে তা নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব বলেই মেনে নিচ্ছেন তিনি। এই কাঠামো তৈরির খরচ বহন করা এখন সম্ভব নয়। কিন্তু আগামী শতকে এই ধারণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা গেলে মহাকাশে একবারে এক লাখ থেকে কয়েক লাখের বসবাস করা সম্ভব হবে।’
কিন্তু মহাকাশে বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়ে গেছে। মহাকাশে বসতি স্থাপনের আগে এই বাধাগুলো দূর করতে হবে। এর মধ্যে প্রথম বাধাটি হবে মহাকাশে পৌঁছাতে রকেটের খরচ। এটি কমাতে হবে।
দ্বিতীয় বাধাটি হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সহজলভ্য করা। মহাকাশে তৈরি বসতিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে খাবার উৎপাদন ও সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে শক্তির চাহিদা মেটানোর মতো দরকারি বিষয়গুলো ওই শহরেই থাকতে হবে।
মহাকাশের তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষার জন্য ওই শহরে বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশের এই তেজস্ক্রিয়তা বড় সমস্যা তৈরি করবে না। সূত্র : ডেইলি মেইল।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: