ছেলেদের প্রতারণা করার ৩ কারণ

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৫, ০৬:৫৮ পিএম

বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের সমাজে নতুন কিছু নয়, কিন্তু আমাদের অধিকাংশ প্রতারণা আগের চেয়ে আরো বেশী ভয়ানক ও স্বীকৃত হবে বলে মনে হয়। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পুরুষেরা কি মেয়েদের তুলনায় বেশী প্ররোচনা করেন? যদি করেন তাহলে কতটুকু করেন?

বৈবাহিক ও পারিবারিক থেরাপি এসোসিয়েটেড প্রেস জার্নাল মতে, ৫৭ শতাংশ পুরুষেরা জীবনের কোন না কোন সময় প্রতারণা করেন এবং এক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা ৫৪ শতাংশ। এখানের তথ্য অনুযায়ী লিঙ্গের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে বলে মনে হচ্ছে না।

গবেষণায় দেখা যায়, বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে ২২ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ প্রতারণা করছে। তখনি তারা এর পেছনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন গবেষণা শুরু করেন।

আটলান্টার একজন সাইকোথেরাপিস্ট ডঃ ডেভিস বলেছেন, বৈবাহিক এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের মধ্যে সমস্যার জন্য একাধিক কারণ আছে। পুরুষএবং মহিলা উভয়ের শতাব্দী জুড়ে ব্যভিচারী আচরণে অংশগ্রহণ করার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তারা একই কারণে একে-অপরের সাথে প্রতারণা করেন।

প্রতারণা করার পেছনে যে সকল মূল কারণ বিদ্যমান তা নিম্নে আলোচনা করা হল-

১. অনিশ্চয়তা:
ডঃ ডেভিস এর মতে ছেলেদের মাঝে সবসময় অনিশ্চয়তা কাজ করে। যার ফলে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে না। তিনি বলেন, সম্পর্কের প্রথম সময়ে নারীরা সম্পর্ককে যতটা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করে ছেলেরা ততটা গুরুত্ব দেয় না। তারা প্রথম দিকে শুধু নিজেদের আনন্দের কথা চিন্তা করে। তারা মনে করেন, একটা সম্পর্ক শেষ হলে আরেকটি সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।

অবশ্যই, নারীরাও সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। তবে বয়স ও পরিপক্কতা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করে। মেয়েরা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসে কিন্তু ছেলেরা এ বিষয়ে বেশী আগ্রহী থাকে না।

২. স্বীকৃতি:
প্রতারণা অবশ্যই খুব খারাপ একটি বিষয়। প্রতারণা একটি সামাজিক কলঙ্ক যা মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করে। তবে আমাদের সমাজে এতো বেশী প্রতারণা চলে যে মানুষ একে স্বাভাবিক আচরণ মনে করেন।

ডঃ ডেভিসের মতে কিছু পুরুষ এমন একটি সমাজে বেড়ে উঠে যেখানে সে তার বাবাকে তার মায়ের সাথে প্রতারণা করতে দেখে। এরপরও মা তার বাবাকে ছেড়ে যায় না। যার ফলে এরকম অবস্থা তার নিকট স্বাভাবিক বলে মনে হয়। সেও তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে থাকে। ছেলেদের মাঝে তাদের সম্পর্কের স্বীকৃতি দেয়ার সাহস কম থাকে। যার ফলে দীর্ঘ-সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. বিদ্বেষ না রাখা:
ছেলেদের মাঝে মেয়েদের তুলনায় সহানুভূতি কম থাকে। তবে যেকোনো সম্পর্কে একে-অপরের প্রশংসা করা উচিৎ। ছেলেরা বরাবর মেয়েদের অনেক প্রশংসা করেন তবে মেয়েরা এক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে। ছেলেরা যখন কোন সম্পর্কে জড়ায় তখন তারা সবকিছুতে মেয়েদের কাছ থেকে পরামর্শ আশা করে। তারা তাদের জীবনের সকল প্রান্তে মেয়েটির সমর্থন আশা করেন। যখন মেয়েরা তা করেন না তখনি তারা নিজেদের অগ্রাহ্য বলে মনে করেন। তখনি সম্পর্কের মাঝে ফাটলের সৃষ্টি হয়।–সূত্র: লাইফ হ্যাক।


সম্পাদনা: ফাতেমা তুজ জোহুরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: