বিশ্বের সেরা ৫ টি কুখ্যাত জেলখানা (ছবি সহ) 

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১১:৩৪ পিএম

জেলখানা (Prison) একটি বিশেষ স্থান, যেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত বা সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা অবস্থান করেন। এখানে যে কেউ ইচ্ছে করলেই প্রবেশ করতে পারে না এবং এখানে অবস্থানরত আসামীরাও নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী চলাফেরা করতে পারে না।

কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু জেলখানা বা কারাগার রয়েছে, যেখানে আসামীদের উপর চালানো হয় নির্মম অত্যাচার। এই জেলখানা গুলো রক্তাক্ত ঘটনার জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এখানে এমন ৫টি ভায়াবহ ও নির্মম জেলখানার বর্ননা তুলে ধরা হল:

দিয়ারবাকির কারাগার – তুরস্ক:

দিয়ারবাকির কারাগারটি তুরস্কে অবস্থিত। এটি ১৯৮০ সালে খুলে দেওয়া হয়। এই কারাগারে বন্দীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়। মানকাধিকার লঙ্ঘনকারী কারাগারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার বন্দীদের উপর শারীরিক, মানসিক এমনকি যৌন নির্যাতন চালনো হয়। এ অবস্থা থেকে বাচার জন্য বন্দিরা মাঝেমাঝেই আত্মহত্যার করে থাকে। এই কারাগার অবসানের জন্য অনেক আন্দোলন সত্ত্বেও এটি এখনো কার্যকর। বিশ্বের সেরা ৫ টি কুখ্যাত জেলখানার মধ্যে এটির অবস্থান ৫ নম্বরে।

কারানডিরো পেনিটেনশিয়ারি কারাগার – ব্রাজিল:

চার নম্বরে থাকা ব্রাজিলের কারানডিরো পেনিটেনশিয়ারি কারাগারটি ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ, নৃশংস, বিপজ্জনক ও কুখ্যাত কারাগারগুলোর একটি। এটা ১৯২০ সালে নির্মিত হয় এবং ১৯৫৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কর্মক্ষম ছিলো। এখানে ৪৬ বছরের ইতিহাসে ১৩০০ এর বেশি বন্দি হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০০২ সালে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর এক রির্পোটের পর ব্রাজিল সরকার এটি বন্ধ ঘোষনা করেনএবং ধ্বংস করে দেয়। কারাগারের একটি অংশ এখন জাদুঘর।

গিতারামা কেন্দ্রীয় কারাগার – রুয়ান্ডা:

এটিকে পৃথিবীর জাহান্নাম বলে আখ্যায়িত করা হয়। রুয়ান্ডার এই কারাগারটি ১৯৯০ সালে ৪০০ জনের জন্য নির্মিত হয়েছিলো কিন্তু এখন এখানে প্রায় ৭০০০ আসামি বাস করে। এখানে প্রতি বর্গ গজে চার জন মানুষ বাস করে। এখানকার আসামিরা খাবার নিয়ে নিয়মিত দ্বন্দে লিপ্ত হয়, কারণ খাবার এখানে খুব দুর্লভ বস্তু। এখানে আসামিরা খাবারের জন্য একে অপরকে হত্যা পর্যন্ত করে।

ক্যাম্প ২২ - উত্তর কোরিয়া:

দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর কোরিয়া কারাগার ক্যাম্প ২২ অন্যতম একটি ভয়াবহ কারাগার।

এটি কওয়ান-লি-সো ২২ জন রাজনৈতিক বন্দীর জন্য ১৯৬৫ সালে নির্মিত হয়েছিল। রাজনৈতিক বন্দীদের তাদের পরিবার এমনকি শিশুসহ এখানে এনে এখানে রাখা হয়, যাতে শত্রুর শেষ অংশও উপরে ফেলা যায়। ১৯৬৫ সাল থেকে এখানে প্রায় ৫০,০০০ বন্দি আনা হয় এবং বিভিন্ন সময় এদের ল্যাবে রাসায়নিক বোমা সহ অনেক কিছুর জন্য গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। একজন এখনা থেকে পালাতে চেষ্টা করলে, তার পরিবার সহ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

এডিএক্স ফ্লোরেন্স কারাগার – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:

প্রথম স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এডিএক্স ফ্লোরেন্স কারাগার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সুবিধা ভোগকারী কারাগার। এ জেলখানায় আমেরিকার সবচেয়ে ভয়ানক অপরাধী জন্য একটি সুপার-ম্যাক্স কারাগার। এটি কলোরাডোর মধ্যে অবস্থিত। এখানে সাধারণত অন্যদেশ থেকে আনা বন্দীদের রাখা হয়। এখানে মানবাধিকারের কোন স্থান নেই। কারারক্ষীরা বন্দীদের উপর শারীরিক, মানসিক এমনকি যৌন যে কোন ভাবে নির্যাতন চালাতে পারে। এখনে অনেকেই আত্মঘাতী হতে চেষ্টা করে। এটিকে 'জাহান্নামের ক্লিনার সংস্করণ' কারাগার বলা হয়।

-সূত্র: ওয়ান্ডার লিস্ট।
সম্পাদনায়: তাহমিনা শাম্মী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: