আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে: ঐশি

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান দম্পতির মেয়ে ঐশি রহমান বলেছেন, তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে এবং ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। মা-বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনে ঐশী এ দাবি করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর করা জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ঐশীকে। ওই সময় আইনজীবীরা ঐশী স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের ব্যাপারে আদালতের সঙ্গে কথা বলতে চান জানান। কিন্তু বিচারক ঐশীকে কথা বলতে সুযোগ না দিয়ে আইনজীবীদের লিখে আনা স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে স্বাক্ষর করাতে অনুমতি দেন। এরপর ঐশী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
শুনানিকালে ঐশীর আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঐশীর দেয়া স্বীকারোক্তি তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, “চাকরি জীবনে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অনেকের শত্রুতা থাকতে পারে। তাদের কেউ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।’
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, “এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। পুরো জাতি এ মামলার দিকে তাকিয়ে আছে। হত্যাকাণ্ড শেষে ঐশী আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আত্মসমর্পণ করে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঐশী খুনের যে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে তাতে তার জামিনের কোনো সুযোগ নেই।” শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. এরফান উল্লাহ ঐশীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে ঐশী বলেন, “আমি (ঐশী রহমান) এই মামলার আসামি। বিগত ১৭ আগস্ট পল্টন থানায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করিলে আমাকে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এবং আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে গত ১৮ আগস্ট আমাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে বলে যে, আমাদের কথামতো তুমি যদি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের সামনে আমাদের শেখানো কথা না বল, তাহলে তোমাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে মেরে ফেলব অথবা ক্রশফায়ারে মেরে ফেলব। তোমরা সমাজের কীট! আবর্জনা!”
ঐশি আরো বলেন, “আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এবং মৃত্যুর ভয়ে তাদের শেখানো কথা আদালতে গিয়ে বলতে বাধ্য হই। গত ২৪ আগস্ট তারিখে আদালতে আমার প্রদত্ত জবানবন্দি সত্য নয় এবং স্বেচ্ছাপ্রণোদিতও নয়। আমি অদ্য বিজ্ঞ আদালতে দেয়া আমার জবানবন্দি প্রত্যাহারের প্রার্থনা করছি।”
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ আগস্ট তাদের মেয়ে ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে। পাঁচ দিনের রিমান্ডে ঐশী মা-বাবার হত্যার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ দাবি করেছে।তথ্য-রেডিও তেহরান
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: