প্রেমিক/প্রেমিকা কি ক্ষতি করছে আপনার স্বাস্থ্যের

প্রকাশিত: ০৬ আগষ্ট ২০১৪, ০৭:৪৪ এএম


প্রেম করার মূহূর্তগুলো যেন জীবনের সবচাইতে সুন্দর মূহূর্ত। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে প্রেমের এই বিশেষ মূহূর্তগুলোর কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে কিনা আপনার? ভাবছেন এ আবার কেমন প্রশ্ন তাইনা? শুনতে অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে প্রেমিক বা প্রেমিকা হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যহানির কারণ। কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে খুব বেশি জড়িয়ে গেলে নানান রকম কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে! জেনে নিন কারণ গুলো।


হিংসার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
ভালোবাসায় কিছুটা হিংসা থাকবেই। কিন্তু এই হিংসা যখন প্রতিদিনের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। কারণ হিংসা প্রচন্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।
মন খারাপের কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি

ভালোবাসায় টুকটাক ঝগড়া কিংবা মান অভিমান তো থাকেই। কিন্তু প্রতিনিয়তই এসব ঝগড়াঝাটি আমাদের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে যা মানসিক ও হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
মনের ক্ষোভ চেপে প্রকাশ না করার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
অনেক সময় ঝগড়া হবে ভেবে আমরা মনে মনে রাগটা চেপে যাই। অনেক অভিমান বুকে জমিয়ে বুকটাকে ভারী করে রাখি। কিন্তু মুখ ফুটে কিছুই বলি না সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয়ে। কষ্ট এভাবে জমিয়ে রাখার অভ্যাস আছে যাদের তাদের অধিকাংশই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
ইদানিং প্রেম করা মানেই ফাস্ট ফুডে ঘুরে ঘুরে সময় কাটানো। কোথাও বসার যায়গা না পেয়ে ফাস্টফুডের হালকা মিউজিক আর এসির ঠান্ডায় বসে বেশ কিছু সময় কাটাতে গিয়ে নানান রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবারও খাওয়া হয় অধিকাংশ যুগলের। ফলে মেদ, কিডনির রোগ, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, প্রেসার ইত্যাদি সমস্যা দেয়া দেয় শরীরে।
নির্ঘুম রাত কাটানোর কারণে স্বাস্থ্যের ক্ষতি
রাতের পর রাত স্কাইপে, মোবাইলে অথবা ফেসবুকে কথা বলেন প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে? যদি আপনার এমন অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ। কারণ প্রতিদিন কমপক্ষে ৭/৮ ঘন্টা একদম নিশ্চিন্তে না ঘুমালে নানান রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: