ওরা আমাকে সমকামি হতে বাধ্য করেছে!

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৬, ১০:১৯ এএম

আমাদের আশপাশে প্রতি মুহুর্তে অনেক ঘটনা জানা অজানার মধ্যে দিয়ে ঘটে যাচ্ছে। আর বর্তমান সমাজের কাছে কেউ না কেউ ধর্ষিত হচ্ছে। আর আপনার চারপাশের ঘটে যাওয়া খবর নিয়ে আমাদের এই আয়োজন।

পাঠক আজকে আমাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করেছেন সেই লেখাটি হুবুহু তুলে ধরা হচ্ছে:

ফেসবুক, সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ক্লাস ৯ অবধি জানতাম না ফেসবুক কি। যখন ক্লাস ১০ এ ওঠলাম তখন থেকে ফেসবুকের হাতে খড়ি। এলাকার এক বড় ভাই একটা একাউন্ট খুলে দেয়। তার পর অনেক এড আসতে থাকে আমি ও অনেক জনকে এড দিতে থাকি। একদিন এক বড় ভাইয়ের একাউন্ট থেকে (অপরিচিত) এড আসে নিয়োমিত কুষলাদি বিনিময় হতো। বয়স তার ৩১ হবে। আমার ছবিতে নিয়োমিত কমেন্ট করতো ইনবক্সে আমার প্রচুর প্রশংসা করতো।

তার পর আমাকে তার ছোট ভাই বানালো,নাম্বার আদান প্রদান হলো। যেহেতু আমার তখন নিজস্ব কোন মোবাইল ছিলো না তখন আমার প্রাইভেট টিচারের পরিচয় দিয়ে আমাদের বাসায় কল দিতো, আমার সাথে কথা বলার জন্য। প্রতিদিন প্রায় ৪০/৫০ মিনিট কথা বলতো। আম্মা প্রায় আমাকে বকা ঝকা করতো এতো কি কথা স্যারে সাথে আমি নানান সমস্যার কথা বলে পাশ কাটিয়ে যেতাম।

অবশেষে একদিন আমার জীচনের অন্ধকার পথের দ্বার উন্মচিত হলো-এক দিন তিনি আমাকে দেখা করতে বললেন। আমি ও ওনাকে বড় ভাই মনে করে দেখা করতে গেলাম (৬-৭-১২) সন্ধ্যায় আমাদের শহরের মিলনায়তনে। ওনি আমাকে নিয়ে এক নিরব জায়গায় গিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু দিলেন।

আমি জোড় করে ওনাকে সরি দিয়ে বললাম -এ সব কি করছেন? আপনি না ছেলে? ছেলে হয়ে ছেলের সাথে এ সব কি? ওনি বললেন-কেন? বড় ভাই ছোট ভাইকে আদর করবে এটাই তো স্বাভাবিক। পরে তিনি আমাবে আমার ও জড়িয় ধরেন,চুমু দেন, যেহেতু আগে কারোর এতো সংস্পর্শ আসি নাই তাই আমার ও বেশ ভালোই লাছিলো। এক পর্যাযে শারিরীক সম্পর্ক গভীর হতে গভীরে গেলো। আমি আদৌ জানতাম না সমকামিতা কি? এবং ওনি একজন সমকামি, এভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে আমি সমকামিতায় আসোক্ত হয়ে পড়ি। আমার একাউন্টের সবাই সমকামি।

বর্তমানে যেখানেই যাই ফেসবুকে শুধু একটা পোষ্ট দিলেই চলে,সমগ্র বাংলাদেশের কম বেশি সমকামি লোকেরা আমাকে চিনেন। অনেকেই মিট করতে চায়, কেউ কেউ বেড শেয়ার করতে। মাঝে মাঝে একা একা প্রচন্ড কাদি, আমি কেন অন্য চার /পাঁচটা ছেলের মতো হলাম না। আমি এমন কেন? আসলে সমকামিতা আমার রক্তে মিশে গেছে, একটা যন্ত্রনাময় ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত এই যন্ত্রনাকে নিয়ে বাচতে হবে। কয়েক বার এই যন্ত্রনা থেকে চিরতরে বিদায় নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কাছের মানুষ গুলাকে বড্ড ভালোবাসি বলে পারি নি। আজ ও চলছে আামর জীবন কাহিনী।

ফেসবক আসার পরে সাড়া বিশ্বে সমকামি লোকদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে,কেউ ইচ্ছা করেই যৌন সঙ্গি খুজতে একাউন্ট খুলছে, কেউ বা এর মধ্যে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। তা ছাড়া ফেসকুকের মাধ্যেমে বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। এক দল আছে যারা ফেসবুকে একে ওকে সুন্দর সুন্দর ছেলেদের পিক দিয়ে মিট করতে বলে। পরে তাদের মোবাইল,মানিব্যাগ,ল্যাপটপ চিনতাই করে। কেউ কেউ হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।

আপনার জীবনে এমন কোন ঘটনা যদি ঘটে থাকে শেয়ার করতে পারেন আপনিও। পরিচয় গোপন করে তুলে ধরবো আমরা। প্রকাশের উদ্দেশ্য সমাজকে সচেতন করা আরো সাবধান করা জীবন পরিচালনার জন্য।

ইমেল করুন: [email protected] ঠিকানায় অথবা সরাসরি আমাদের আমাদের ফেইসবুক পেইজে facebook.com/bd24live ম্যাসেজ করুন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: