রাজধানীর কয়েকটি ভয়ঙ্কর স্পট
সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত রাজধানীতে অহরহ ঘটছে ছিনতাই ঘটনা। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেককে। ছিনতাইকারীদের আতঙ্কে রাজধানীবাসী এখন অনেক ক্ষেত্রে চলাচল সীমিত করেছেন। এই ছিনতাই বাড়ার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
কয়েকটি তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক মাসে আগে পুরান ঢাকার টিকাটুলীতে সকালে এ যুবক কে এম দাস লেনে মোটরসাইকেলে করে এসে সহযোগী নিয়ে এক রিকশা যাত্রীর পথরোধ করে। এ সময় রিকশা যাত্রী দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে তারা রিকশা চালককের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রিকশা চালক স্বপন টাকা দিতে না চাইলে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য ছিনতাই ঘটনার মধ্যে আরেকটি সম্পর্কে জানা গেছে, গত বছর রিকশায় করে উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ে যাওয়ার পথে র্যাব সদর দফতরের সামনে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। সাদা রঙের প্রাইভেট কারে থাকা এক ব্যক্তি তার হাতে থাকা ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চললেও বিমানবন্দর থানায় ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে মাত্র ৪টি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট থেকে রিং রোড, ধানমণ্ডির শুক্রাবাদ থেকে ২৭ নম্বর, ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের পুরোটা, আগারগাঁওয়ের সংযোগ সড়ক, খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর সড়ক, মৌচাক মার্কেট থেকে মগবাজার, সদরঘাট থেকে সূত্রাপুর-দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, উত্তরা থেকে আবদুল্লাহপুর, ঝিগাতলা থেকে রায়েরবাজার-শংকর, মিরপুরের রূপনগর-বেড়িবাঁধ, যাত্রাবাড়ীর দোলাইরপাড়-শ্যামপুর, গাবতলী থেকে মিরপুর ১, ঝিগাতলা থেকে শংকর, গুলিস্তান থেকে পল্টন, সার্ক ফোয়ারা থেকে রমনা পার্ক, কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত, পলাশী থেকে আজিমপুর উল্লেখযোগ্য।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট থেকে রিং রোড, ধানমণ্ডির শুক্রাবাদ থেকে ২৭ নম্বর, ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের পুরোটা, আগারগাঁওয়ের সংযোগ সড়ক, যাত্রাবাড়ীর দোলাইরপাড়-শ্যামপুর, গাবতলী থেকে মিরপুর ১, ঝিগাতলা থেকে শংকর, গুলিস্তান থেকে পল্টন, সার্ক ফোয়ারা থেকে রমনা পার্ক, কাঁটাবন থেকে নীলক্ষেত, পলাশী থেকে আজিমপুর, খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর সড়ক, মৌচাক মার্কেট থেকে মগবাজার, সদরঘাট থেকে সূত্রাপুর-দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, উত্তরা থেকে আবদুল্লাহপুর, ঝিগাতলা থেকে রায়েরবাজার-শংকর, মিরপুরের রূপনগর-বেড়িবাঁধ এসব এলাকায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
রাজধানীতে ছিনতাই নৈমিত্তিক ঘটনা হলেও পুলিশের হিসাবে গত বছর ঢাকার সবগুলো থানায় মাত্র ৮৭টি দস্যুতার মামলা হয়। অর্থাৎ সারা শহরে দিনে গড়ে একটি করেও নয়! জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে দস্যুতার মামলা হয়েছে যথাক্রমে ৭টি, ১৩টি, ৭টি, ৬টি, ৯টি, ৬টি, ৪টি, ১৫টি, ৫টি এবং ৭টি।
ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই ছিনতাইয়ের শিকার হলেও থানা পুলিশের কাছে যেতে চান না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, থানা-পুলিশের কাছে গেলে ঝামেলা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসটি উদ্ধারেরও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: