
ভাতের সঙ্গে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামী মোহাম্মদ আলীকে (৪০) নিজ হাতে খাওয়ান স্ত্রী মুন্নি বেগম। এরপর স্বামী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে প্রেমিক মামুন চৌকিদার ও তার সহকারী বাবু ফকিরের (২৫) কাছে তুলে দেন স্ত্রী । পরের দিন পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার নিহতের স্ত্রী মুন্নি ও বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ। রোববার বিকেলে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম এসব তথ্য তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের একটি পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবর নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে কোনো আঘাতের চিহ্ন না পেলেও পুলিশের মনে হয়, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। পরে নিহতের স্ত্রী মুন্নি বেগমকে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাই শুক্রবার মুন্নিসহ বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের বড়ভাই কারামত আলী শুক্রবার অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে শরীয়তপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
শনিবার মুন্নি ও বাবুকে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মুন্নি। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, ঘুমের ওষুধ মেশানো ভাত খাওয়ার পর স্বামী অচেতন হয়ে পড়েন। তখন তিনি স্বামীকে প্রেমিক মামুন ও বাবু ফকিরসহ কয়েকজনের হাতে তুলে দেন।
এদিকে বাবু ফকির পেশায় অটোরিকশাচালক। তার অটোতে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের একটি পুকুর ফেলে দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় পুলিশ।
সর্বশেষ খবর