
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রেম ও প্রতারণার নাটকে ভয়াবহ পরিণতির শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে কৈফিয়ত চাইতে গিয়ে চরম লাঞ্ছনার শিকার হন তিনি। শুধু মারধরই নয়, ব্লেড ও কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হয় তার মাথার চুল।
ঘটনার শিকার নারী বীনা রানী বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেলে শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে তিনি সতীন স্বপ্না রানী, তার মা সপ্তমী রানী ও বোন পুতুল রানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
বীনার ভাষ্যমতে, প্রায় দশ বছর আগে কুড়াহার মন্ডলপাড়া গ্রামের বিপুল চন্দ্রের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান। তবে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী বানাইল গ্রামের স্বপ্না রানীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এমনকি বিয়েও করেছেন।
সেই অভিযোগ নিয়েই তিনি স্বপ্নার বাড়িতে যান সত্য জানতে। স্বপ্না সরাসরি বলে দেন, “বিপুল এখন আমার স্বামী।” বীনা তখন জানতে চান, তাদের বিয়ের প্রমাণ কী? এই প্রশ্ন করতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।
বীনার দাবি, স্বপ্না, তার মা ও বোন তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে পুতুল ওড়না দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরেন এবং স্বপ্না ব্লেড ও কাঁচি দিয়ে কেটে দেন তার মাথার চুল। এই অমানবিক নির্যাতনের পর কাঁদতে কাঁদতে তিনি থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।
অন্যদিকে, বিপুল চন্দ্র দাবি করেছেন, “আমি স্বপ্নাকে বিয়ে করেছি। শুনেছি বীনা নাটক করছে—নিজেই চুল কেটে আমাদের ফাঁসাতে চায়।” স্বপ্না ও তার পরিবারের সদস্যরাও অভিযোগ অস্বীকার করে বীনার কথাকে ‘মিথ্যা নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর