
বরগুনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অস্বস্তিতে পড়েছে সকল শ্রেণির মানুষ। ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার (১০ মে) দুপুরে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬/৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৭০ শতাংশ।
বলা হয়, গরমের তীব্রতা ২৪ ঘণ্টা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে, তপ্ত রোদের কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মৌসুমী সবজি চাষিসহ বিভিন্ন ফলের বাগানিরা। প্রখর রোদে গাছ থেকে ঝরে যাচ্ছে আম, আমরুল, জামরুল ও লিচুসহ বিভিন্ন ফল। অস্বাভাবিক গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও চর্মজনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
বরগুনা পৌর শহরের রিকশাচালক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই রোদের তাপ অনেকটা বেড়ে গেছে। একটু বাতাসও নেই। দুপুরের সময় রিকশা চালানো তো দূরের কথা বাইরে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে।
লঞ্চঘাট এলাকার শ্রমিক বলেন, “রোদের তীব্রতা এত বেড়ে গেছে যে, একটু কাজ করলেই শরীর ঘেমে যাচ্ছে। দুপুরের সময়তো কাজই করা যায় না।”
আবহাওয়া অফিস জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রার তীব্রতা বাড়তে পারে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর