
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাহমুদ জিন্স অ্যান্ড ওয়াশিং প্লান্টের শ্রমিকরা বকেয়া পরিশোধের দাবিতে শুক্রবার ( ২৩ মে) সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা মহাসড়কের পাশে জড়ো হয়ে বকেয়া বেতন, সার্ভিস চার্জ ও ছুটির অর্থ পরিশোধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তারা মহাসড়কে নামতে চাইলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করে এবং কারখানার প্রধান ফটকের সামনে আলোচনা শুরু করে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর কারখানাটি হঠাৎ করে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ ডিসেম্বর মালিকপক্ষ পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার তারিখ পিছিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। ফলে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
শ্রমিক সাজেদা খাতুন বলেন, “তিন মাস ধরে বাসাভাড়া দিতে পারছি না। ছেলেমেয়ের পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে গেছে। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের পরিকল্পনার খবর গোপন সূত্রে আগেই পাওয়া যায়। কালিয়াকৈর থানা ও শিল্প পুলিশের যৌথ একটি দল সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল, ফলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, “শ্রমিকদের বিক্ষোভ শেষ হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
মাহমুদ জিন্স লিমিটেডের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক আবু তালেব বলেন, “শ্রম আইন অনুযায়ী গত বছরের ১০ অক্টোবর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কারখানা কর্তৃপক্ষের হাতে এখন আর কিছু নেই।”
এদিকে মালিকপক্ষের অন্যান্য কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠান মাহমুদ ওয়াশিং প্লান্ট লিমিটেড থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভের পরপরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর