
ময়মনসিংহ নগরীতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোববার (১ জুন) ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর ছয়টি এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর চরপাড়া মোড়, সানকিপাড়া, আকুয়া, গোলকিবাড়ী, বলাশপুর, খাগডহর, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, বদরের মোড়, ধোপাখলা, কাশর মসজিদের মোড়, জেলা খানা রোড, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল, জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
চরপাড়া মোড় এলাকায় চরপাড়া থেকে গাঙ্গিনারপাড় যাওয়ার প্রধান সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একই অবস্থা চরপাড়া মোড় থেকে ব্রাহ্মপল্লি সড়কেও।
নগরের বাঘমারা সড়কেও হাঁটুসমান পানি দেখা গেছে। কয়েকটি গলির বাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন। নর্দমা উপচে আবর্জনা সড়কের পানিতে মিশে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর ড্রেন সংস্কার ও খাল পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশন মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করলেও সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
জনউদ্যোগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ড্রেন ও সড়ক সংস্কারের পরেও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজগুলো কার্যকর হচ্ছে না।
আকুয়া মোড়লবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলম জানান, তাদের এলাকায় দুপুর পর্যন্ত হাঁটুপানি ছিল। গোলকিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হাসান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ড্রেন পরিষ্কার না রাখার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
ধোপাখলা এলাকার বাসিন্দা আহমেদ শাকিল বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কাজ করছে না। বাশঁবাড়ী কলোনির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানিতে অনেকের ঘরে পানি ঢুকেছে।
এদিকে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া জানান, নগরীর ড্রেনগুলোর পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে এবং নতুন করে ১২০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর নগরবাসী এর সুফল পাবেন। তিনি আরও বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে ড্রেন ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
আবহাওয়া অফিস ময়মনসিংহের উচ্চ পর্যবেক্ষক নির্মল চন্দ্র মজুমদার জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও কমে আসবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর